চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরিবারে খুশির বার্তা নিয়ে এলো খুশি। খুশি আসলে তার ডাকনাম। আসল নাম পিয়া। খুশির মাধ্যমিকের রেজাল্টে আনন্দে গোটা গ্রাম। মেয়ের সাফল্যে আনন্দের জোয়ার মিঠানির কামালপুর বাউড়ি পাড়ার বাসিন্দাদের মনে। কারণ এই পাড়াতে সে-ই প্রথম মাধ্যমিকে এত ভাল ফল করেছে। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা চালাতে হলে এখন প্রয়োজন অ্যানড্রয়েড ফোন, ভাল রিচার্জ প্যাকেজ। তার সঙ্গে কোচিং কিংবা টিউশনের খরচ তো আছেই! তাই উদ্বিগ্ন দুঃস্থ পরিবারের এই মেধবী ছাত্রী।
বাবা ঝুপল বাউরি দিনমজুর। টুকিটাকি ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন। মা জিতু বাউরি গৃহবধূ। বাবা-মা দুজনেই পড়াশোনায় হাইস্কুলের গণ্ডি পর্যন্ত পৌঁছননি। তবু তাঁদের মেয়ে পিয়া (খুশী) বাউরি মাধ্যমিকে ৫৮৬ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাবা-মায়ের প্রবল উৎসাহ আর মেয়ের অদম্য জেদেই ৫ টি বিষয়ে লেটার মার্কস এনেছে পিয়া। তার মধ্যে অঙ্কের প্রাপ্ত নম্বর ৯৩।
[আরও পড়ুন: রক্তে মিশে লড়াই, পুঞ্চা থানার প্রথম মহিলা ওসি হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই ‘লেডি সিংহম’]
কুলটির মিঠানি হাই স্কুলের ছাত্রী পিয়াকে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে আশা ছিল তা পূরণ করেছে সে। বাড়ির আর্থিক অস্বচ্ছলতা পড়াশোনায় বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। তবে শুধু পড়াশোনাই নয়, কবিতা ও আঁকাতেও সুনাম রয়েছে পিয়ার। ভবিষ্যতে এই মেধাবী ছাত্রী মেডিক্যাল নিয়ে পড়তে চায়। নেটে বসতে ইচ্ছুক। কোচিং-এর প্রয়োজন। কিন্তু সে তো অনেক খরচ! তাই চিন্তায় রয়েছে পিয়ার পরিবার।
পিয়ার দাবি, ৮ থেকে ৯ ঘন্টা নিয়ম করে পড়েই এই সাফল্য এসেছে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্যও পেয়েছে। মিঠানি স্কুলেই বিজ্ঞান নিয়ে সে পড়বে। পিয়ার বাবা-মা বলেন বিজ্ঞানের জন্য এবার টিউশন প্রয়োজন। খরচও অনেক রয়েছে। এদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে এখন বেশিরভাগ টিউশন বা কোচিং চলছে অনলাইনে। এই পরিস্থিতি চলবে দীর্ঘদিন ধরে। পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে প্রয়োজন একটি ভাল অ্যানড্রয়েড ফোন আর নেট রিচার্জের। ফলে খরচ অনেকটাই বাড়লো। তাই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পিয়ার পরিবারের সদস্যদের কপালে।
[আরও পড়ুন: ‘বাম আমলে না পেত ত্রাণ, না পেত দান’, আমফানের ক্ষতিপূরণের ভুয়ো আবেদন বাতিল মমতার]
The post ভাল স্মার্টফোন নেই, অনলাইনে পড়াশোনা কীভাবে হবে ভেবে চিন্তায় মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.