অর্ণব আইচ: নিট প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের মধ্যেই বড়সড় অভিযোগ উঠল এ রাজ্যের এক কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। এক পরীক্ষার্থী ও তাঁর অভিভাবকদের দাবি, শহরের কোচিং সেন্টারের শিক্ষক প্যানেলে তাঁর নাম তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মোটা টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছে। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সেই পরীক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় নেই। তার পরেই ওই পড়ুয়ার অভিভাবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার শিকার ওই পরীক্ষার্থী অন্য জেলার বাসিন্দা। তিনি কলকাতায় মামার বাড়ি থেকে নিট (Neet) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সেই সময় সৌরিশ ঘোষ নামের ওই শিক্ষক তাঁকে 'টোপ' দেন। প্যানেলে নাম তুলে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। পড়ুয়ার পরিবারের দাবি, সেই মতো ৫ লক্ষ টাকা নগদও দেন তাঁরা। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় তরুণীর নাম তালিকায় নেই। তার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর পুরসভাগুলোর ‘অ্যাকশন’, সল্টলেক-কলকাতায় উচ্ছেদ অভিযান পুলিশের]
নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রথম অভিযোগ ওঠে বিহারে। তদন্তে নামে এনডিএ শাসিত বিহার পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তদন্ত যত এগোয় সামনে আসতে থাকে গুজরাট, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের নাম। এর পরই সিবিআইকে (CBI) এই 'কেলেঙ্কারি' তদন্তের ভার তুলে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। গত রবিবার এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিটে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০-তে ৭২০ পাওয়ার পর বিতর্কের সূত্রপাত। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠতেই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা এনটিএ (NTA) জানিয়েছিল, ভুল প্রশ্নের জন্য এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে 'গ্রেস মার্ক' দেওয়ার কারণেই তাঁদের নম্বর বেড়েছে। তার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। মামলা দায়ের হয়েছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। তবে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত নিট বাতিল করেনি। সেই আবহে এবার নাম জড়ালো বাংলারও।