সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন তাঁদের দেশের জমি দখল করেছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন নেপালের হুমলা জেলার বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভও দেখান নেপালের সাধারণ মানুষ। রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারাও। এর জেরে এবার ভারত সীমান্তে আউটপোস্ট বানানো বন্ধ করে চিন সীমান্তে ১৫টি পোস্ট বানাতে শুরু করেছে নেপাল। সম্প্রতি এমনই খবর দিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই নেপালের পশ্চিমাঞ্চল প্রদেশের হুমলা (Humla) এলাকায় লালফৌজ জায়গা দখল করে পরিকাঠামো তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠছিল। এরপর ৫ অক্টোবর বিতর্কিত ওই জায়গার পরিদর্শনে যান নেপালি কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেসময় তাঁদের লক্ষ্য করে লালফৌজ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরাখণ্ডের ওপারে থাকা নেপালের দারচুলা জেলার ভারত সীমান্তে আউটপোস্ট বানানোর কাজ স্থগিত করে দেয় কাঠমাণ্ডু। তার বদলে পশ্চিম নেপালে অবস্থিত বাজহাং জেলার চিন সীমান্তে ১৫টি বর্ডার আউট পোস্ট (BoP) বানাচ্ছে নেপাল।
{আরও পড়ুন: রোগ সারানোর নামে কিশোরীকে ধর্ষণ, ভণ্ড সাধুকে বেধড়ক মারধর উত্তেজিত জনতার ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে নেপালের হুমলা জেলার ২ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে বিল্ডিং বানায় লালফৌজ ((PLA)। এর জন্য নেপালের সীমান্তে পিলার ভেঙেও ফেলে। জেলা প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার কথা স্বীকার করা হলেও পুরো উলটো সুর শোনা যায় নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি. কিন্তু, গত ৫ অক্টোবর নেপালের প্রতিনিধি দলের উপর লালফৌজের কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার ঘটনার পর গত ১০ তারিখও নেপালের ৬ সেনাকর্মীকে জখম করে। এরপর থেকেই বদলে গিয়েছে পুরো পরিস্থিতি। ‘বন্ধু’ চিনের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন নেপালের বেশিরভাগ মানুষ।