সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক বায়ুসেনার টানাপোড়েনের মধ্যেই দুঃসংবাদ এল নেপাল থেকে। চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সেদেশের পর্যটনমন্ত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত চপারটিতে ছিলেন পাইলট-সহ মোট সাতজন। তাদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে বলে নেপালের বিমানমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
[এয়ারস্ট্রাইকে রাতের ঘুম উড়েছে ইমরানের, ফের আলোচনার বার্তা পাক প্রধানমন্ত্রীর]
নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী-সহ মোট ৭ জন ছিলেন ওই চপারটিতে। কপ্টারটি নেপালের সংস্থা এয়ার ডাইন্যাস্টির অন্তর্গত। পূর্ব নেপালের টাপলেজুং জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, টেপলেজুং এলাকায় একটি পাহাড়ের উপর একটি ধর্মস্থানের পশ্চিমাংশে ধাক্কা মারে হেলিকপ্টারটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এদিন দুপুরে হঠাৎ একটি ভয়াবহ আওয়াজ শুনতে পান তারা। এরপরই জ্বলন্ত অবস্থায় দেখা যায় কপ্টারটিকে। স্থানীয়দের ধারণা, যে সাতজন যাত্রী চপারটিতে ছিলেন তাদের কারও বেঁচে থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরে নেপালের অসামরিক বিমানমন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছে, চপারের প্রত্যেক যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।
[ভূমিকম্প হচ্ছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় ভেবেছিল বালাকোটের বাসিন্দারা]
হেলিকপ্টারটিতে পর্যটনমন্ত্রী ছাড়া রবীন্দ্র অধিকারী ছাড়াও ছিলেন যে আরও ৬ জন ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, নেপালের অন্যতম বড় শিল্পপতি তেসরিং শেরপা। ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহায়ক যুবরাজ দাহাল। মন্ত্রীর একজন দেহরক্ষী, পর্যটন মন্ত্রকের আধিকারিক এবং পাইলট। দুর্ঘটনার পিছনে কোনও গাফিলতি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেপালের রাজনৈতিক মহলে।