সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমা হায়দার ও শচীন মীনার ঘটনা আলোড়ন ফেলেছিল সম্প্রতি। পাকিস্তান থেকে নিজের স্বামী-সন্তানকে রেখে প্রেমিককে বিয়ে করতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে হাজির হয়েছিলেন সীমা। প্রায় তেমনই এক ঘটনা ফের সামনে এল। স্বামী ও দুই সন্তানকে নেপালে রেখে ভারতে প্রেমিকের কাছে এসেছিলেন এক নেপালি (Nepal) মহিলা। কিন্তু তাঁদের পরিণতি হল না সীমা-শচীনের মতো। কেননা ওই মহিলা ভারতে এসে জানতে পারলেন, যাঁর জন্য সব ত্যাগ করেছেন তিনি, সেই মানুষটি বিবাহিত! তাঁর সন্তানও রয়েছে।
নেপালের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম সংগীতা কুমারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় গোবিন্দ কুমারের। বছর দুয়েক আগে নেপালের মন্দিরে বিয়ে হয় তাঁদের। গোবিন্দর বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। তিনি সাময়িক ভাবে সংগীতার সঙ্গে সংসারও করেন। পরে সমস্তিপুরে চাকরি সূত্রে বদলি হলে তিনি ভারতে ফিরে যান। শিগগিরি ফিরে আসার আশ্বাস দিলে আর নিজের কোনও খবর দেননি গোবিন্দ।
[আরও পড়ুন: চোট পাওয়া কেএল রাহুল-শ্রেয়সকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ক্ষুব্ধ সুনীল গাভাসকর]
এদিকে সংগীতা আগেই বিয়ে করেছিলেন। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। সব ছেড়ে গোবিন্দর সঙ্গে দেখা করতে তিনি ভারতে আসেন। তার আগে গোবিন্দর অফিসে খবর নিয়ে দ্বারভাঙায় তাঁর বাড়ির ঠিকানাও সংগ্রহ করেন তিনি।
কিন্তু গোবিন্দর বাড়ি পৌঁছে তিনি থ হয়ে যান। জানতে পারেন গোবিন্দ আগেই বিবাহিত। তাঁর স্ত্রীর নাম প্রেরণা। তাঁদের বিয়ে হয়েছে ৮ বছর আগে। রয়েছে ২ বছরের শিশুকন্যাও। এরপরই অশান্তি চরমে ওঠে। এদিকে গোবিন্দর অভিভাবকরা দুই মহিলাকেই বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর প্রেরণা ও সংগীতা পৌঁছে যান পুলিশের কাছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।