সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত, সুদান, মিশর, সৌদি আরবের মতো দেশ 'আশীর্বাদ'। অন্যদিকে 'অভিশাপ' হল ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মতো দেশ। এভাবেই নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে দুটি মানচিত্র তুলে ধরলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তাঁর দেখানো কোনও মানচিত্রেই প্যালেস্টাইনের অস্তিত্বই ছিল না।
শুক্রবার নেতানিয়াহুর হাতে থাকা দুটি মানচিত্রের একটিতে কালো রঙে চিহ্নিত করা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। উপরে লেখা 'দ্য কার্স'। অন্য মানচিত্রে 'দ্য ব্লেসিং' লিখে সবুজ রঙে চিহ্নিত করা ছিল কয়েকটি দেশ। স্বাভাবিক ভাবেই নেতানিয়াহুর কাছে 'অভিশাপ' হয়ে ওঠা দেশের অন্যতম ইরান। তবে ভারত রয়েছে বন্ধুর তালিকাতেই।
তাঁর ভাষণে তিনি ইরানকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ''আমাদের উপরে ওরা হামলা চালালে আমরাও চালাব।'' তিনি ভাষণ দেওয়ার সময় বহু কূটনীতিককেই দেখা যায় ওয়াক আউট করতে। লেবানন ও গাজায় ইজরায়েলি আক্রমণ প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, এই দুই হামলাই 'প্রয়োজনীয়' ছিল। হেজবোল্লার প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ''হেজবোল্লা যতক্ষণ যুদ্ধের পথে হাঁটবে, ইজরায়েলের পক্ষেও সেই হুমকিকে অপসারিত করতে এছাড়া উপায় নেই।''
নেতানিয়াহুর রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে 'আশীর্বাদ' বলে উল্লেখ করাকেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে আরও বেশি। বিশেষত প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিতে। তবে প্যালেস্টাইনকেও বরাবরই সমর্থন করে এসেছে নয়াদিল্লি। এদিকে বলে রাখা ভালো, ইহুদি দেশটির ‘মারে’ কোণঠাসা প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে খুঁজে খুঁজে নিকেশ করা হচ্ছে জেহাদিদের। গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করছে সৌদি আরব, মিশর, কাতারের মতো দেশ। উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকাও। কিন্তু এখনও কোনও রফাসূত্র মেলেনি।