কৃষ্ণকুমার দাস: এবার বাংলায়ও মিলল করোনার নতুন সুপার সংক্রামক স্ট্রেন (Corona Virus new Strain)। কলকাতার এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষর ছেলের শরীরে নতুন স্ট্রেন মিলেছে। ক’দিন আগেই ওই তরুণ লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরেন। ওই অধ্যক্ষ-সহ পরিবারের সদস্যদের উপর নজর রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যে নতুন স্ট্রেন মেলার খবর স্বীকার করে নিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
সূত্রের খবর, তাঁর লালারসের নমুনা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা যায়, ওই যুবকের শরীরে ‘বিলিতি করোনা’র স্ট্রেন মিলেছে। আপাতত কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের ন’তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই যুবক। বাকি করোনা রোগীদের থেকেও তাঁদের একবারের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁকে চিকিৎসা করছেন এমন চিকিৎসক ও নার্সরা বিশেষ নিয়ম পালন করছেন।
[আরও পড়ুন : বাংলায় ক্ষমতায় এলে পরিবার পিছু সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে নগদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কংগ্রেসের]
নতুন সংক্রামক করোনার কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার নীল নক্সা তৈরি করতে বুধবার জরুরি বৈঠক ডেকেছে স্বাস্থ্যভবন। তাঁরা ইতিমধ্যে আক্রান্তের সম্পর্কে খবর নেওয়া শুরু করেছে। তিনি কোনও বিমানে লন্ডন থেকে ফিরেছেন, বিমানবন্দরে কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন, কোন গাড়িতে বাড়ি ফিরেছেন, বাড়ি ফিরে কারোর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা, তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কারণ, করোনা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম দিকে কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লন্ডনের ছাত্র। সে স্বরাষ্ট্রদপ্তরের এক আমলার ছেলে। এবার ফের লন্ডন ফেরত আরেক ছাত্রের দেহেই মিলল নতুন স্ট্রেন। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উপরন্তু আক্রান্তের নিকটত্মীয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়ক্ষ হওয়ায় আরও বেশি ভয় পাচ্ছে শহরবাসী।
প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই স্ট্রেন ঢুকে পড়েছে ভারতেও। বছরে শেষে দেশে ইতিমধ্যে ২০ জনের দেহে এই স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। এবং সতর্ক না হলে আগামী দিনে দেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের বক্তব্যে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপও শুরু করেছে কেন্দ্র। বুধবার একেবারে খাস কলকাতায়ও নতুন সুপার স্প্রেডার ভাইরাসটির হদিশ মিলল। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ব্রিটেনের বিমান আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। তারপরেও লন্ডন ফেরত যুবকের শরীরে এই স্ট্রেন মেলায় আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
[আরও পড়ুন : পুজোর মতো বর্ষবরণের রাতেও ভিড় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ হাই কোর্টের, নিরাপত্তায় জোর পুলিশের]