দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: প্রেম ভাঙা, যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার, ধস্তাধস্তি। হুগলির (Hooghly) জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকা খুনের তদন্তে এমন সব ধারাবাহিক ঘটনা উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় দুঁদে গোয়েন্দাদের। ঘটনায় হরিপাল (Haripal) থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জনই নাবালক। আজ তাদের উত্তরপাড়ার জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে। অপরজনকে তোলা হয়েছে উত্তরপাড়া আদালতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাঙ্গিপাড়ার (Jangipara) ১২ বছরের নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের। তার বয়স ১৬ বছর। তবে সেই প্রেমে (Love) কয়েকদিন পরই ছেদ পড়ে। উভয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায়। তারপর থেকে মেয়েটির হাতে আর মোবাইল ছিল না। তার মায়ের ফোনে মাঝেমধ্যেই ছেলেটি যোগাযোগের চেষ্টা করত বলে অভিযোগ। দশমীর রাতে মেয়েটিকে ডেকে পাঠিয়েছিল ওই কিশোর। তারপরই বিপদ ঘটে।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেটের টানে ছেড়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং, মনোজ-অরুণের হাত ধরেই উত্থান শাহবাজের]
সাইকেল নিয়ে সে বেরিয়েছিল ছেলেটির সঙ্গে। কথা ছিল, ঠাকুর দেখার। কিন্তু তার বদলে ছেলেটি তাকে নিয়ে পুকুরধারে চলে যায়। অভিযোগ, এরপর ছেলেটি জোর করে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। তাতে বাধা দেয় নাবালিকা। উভয়ের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছেলেটির তিন বন্ধু ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। এরপর তাদের সঙ্গেও নাবালিকা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যে মেয়েটিকে ধাক্কা মেরে পুকুরে ফেলে দেয় চারজন। মেয়েটি সাঁতার না জানায় জলে ডুবে মারা গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুস্তিগির থেকে মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক ‘প্যাঁচে’ই বহুবার বিরোধীদের কুপোকাত করেছেন মুলায়ম]
ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার, চণ্ডীতলা (Chanditala) থানার সিআই সুপ্রকাশ পট্টনায়েক জানিয়েছেন, পকসো ধারা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা অর্থাৎ সরাসরি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। হুগলি জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, মেয়েটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। কোনও অভ্য়ন্তরীণ আঘাত নেই, একটিমাত্র বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ নেই।