অর্ণব দাস, বারাকপুর: বরানগরে ঘরের ভিতর থেকে তিন পুরুষের পচাগলা রক্তাক্ত মৃতদের উদ্ধারের ঘটনায় ক্রমশ ঘনীভূত রহস্য। ঘটনাস্থল সংলগ্ন তৃণমূল পার্টি অফিসের কাছ থেকেই একটি বেনামি চিঠি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। সেখানেই মৃত বাপ্পা হালদারের স্ত্রী খুনের ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি বাড়ির এক ভাড়াটিয়াও গোটা ঘটনা জানে বলে চিঠিতে লেখা রয়েছে। যদিও পুলিশ এই চিঠি সম্পর্কে কিছু বলতে চায়নি।
জানা গিয়েছে, এই চিঠিটি প্রথম দেখেন ওয়ার্ড তৃণমূলের যুব সভাপতি অশোককুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, "রবিবার সকালে হালদার বাড়ির বন্ধ ঘরের মধ্যে বাবা, ছেলে ও নাতির দেহ পড়ে থাকার খবর পাই। সেখানে যাওয়ার জন্য পাশের পার্টি অফিসে সাইকেল রাখতে গিয়েছিলাম। তখন দরজার বাইরে একটি কাগজ পড়ে থাকতে দেখি। তাতে লেখা হালদার বাড়িতে তিনজন খুন হয়েছে। ওই চিঠি নিয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাই। কাউন্সিলর-সহ বাকিদের জানিয়েছিলাম। বিকেলে পুরো চিঠি পড়েছি। সোমবার পুলিশ ওই চিঠি নিয়ে গিয়েছে।"
[আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর পা ছুঁয়ে প্রণাম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের শশীর, ভোটবাজারে বিরল ছবি]
বিষয়টা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, মৃত বাপ্পার স্ত্রী বছর খানেক আগে অন্যজনের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিল। এর পর চিঠিতে স্ত্রীর কথা উল্লেখের ঘটনা জানার পরে এলাকাবাসী সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, "এলাকায় ভালো পরিবারগুলির মধ্যে একটি হল হালদার পরিবার। সেই বাড়িতে এমন ঘটনায় আমাদের অনুমান, বাপ্পা দার স্ত্রী জড়িত রয়েছে। কারণ, আমরা জানতাম এই পরিবারে উপর দীর্ঘদিন ধরে ওর স্ত্রী বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালাত। শিক্ষিত পরিবার বলে ওরা মুখে কিছু বলত না। চিঠিটি নিয়ে তদন্ত করা হোক।"
এদিকে, সোমবার ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজোরিয়া নিজেদের এদিন বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। তখনই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "তদন্তে অনেকগুলো ক্লু পাওয়া গিয়েছে। এর থেকে কিছুটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এদিন একটি ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে। মঙ্গলবার আরেকটি ফরেন্সিক টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করবে। সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চালানো হচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই এই ঘটনার কিনারা করতে পারব।"