সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ধৃত বামাপদ দে’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল তদন্তকারীরা। সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের দাবি, কীভাবে প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিত, কে কে পেত সেই টাকা, তা জানিয়েছে বামাপদ। শীঘ্রই আসানসোলের বিশেষ আদালতে ধৃতের জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই কয়লা কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বামাপদ দে নামে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিলিগুড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারির পর নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সিবিআই আধিকারিকদের ধারণা ছিল, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বামাপদর কাছে। ঠিক তেমনটাই হল। তদন্তকারীদের দাবি জেরায় বামাপদ জানিয়েছেন, সপ্তাহে একবার করে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা নিয়ে বের হত। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে টাকা পৌঁছে দিত সে। তদন্তকারীদের দাবি, কার কার কাছে টাকা পৌঁছে দিত, জেরায় তাঁদের নামও জানিয়েছে ধৃত। অর্থাৎ কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল আরও প্রভাবশালীদের নাম। যদিও তদন্তের স্বার্থে এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ড: আজই নিজাম প্যালেসে হাজিরা ২ আইপিএসের]
জানা গিয়েছে, কাদের মারফত অনুপ মাঝি ওরফে লালা, বিনয় মিশ্র ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিত, দীর্ঘদিন ধরে এবিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছিল ইডি, সিবিআই। তালিকায় উঠে এসেছিল কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তল্লাশি চালানো হয়েছে তাঁদের বাড়িতেও। সেখানে মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে লালা ও বিনয় মিশ্রর টাকা লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের মারফত টাকা পৌঁছত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির কাছে। তারপর তাঁরা সেই টাকা পাঠাতেন প্রভাবশালীদের। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা বাকি ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তে প্রয়োজনীয় আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।