সুমন করাতি, হুগলি: শ্বশুরের হাতে বধূ খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে দাঁড়িয়ে ধৃত দাবি করলেন, তাঁর সঙ্গে দিনের পর দিন অন্যায় করা হয়েছে। টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বৃদ্ধকে দিয়েই করানো হত বাড়ির সমস্ত কাজ। যার জেরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বৃদ্ধের মনে। পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর।
বাড়িতে ছেলে না থাকার সুযোগে হুগলির ভদ্রেশ্বরে ঘুমন্ত বউমাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। শনিবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। রবিবার তাঁকে চন্দননগর মহাকুমা আদালতে পেশ করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। সেখানেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন বৃদ্ধ। বলেন, তিনি শাবল এবং কাটারি দিয়ে বউমাকে খুন করেছেন। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? তার উত্তরেই উঠে এসেছে অত্যাচারের কাহিনী।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া থেকে নেপাল, বিদেশ পাড়ি মুর্শিদাবাদের জগন্নাথের]
বৃদ্ধ জানিয়েছেন, দিনের পর দিন তিনি রেলে কর্মরত ছেলে ও বউমার দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছেন। ধৃতের দাবি, ছেলের সঙ্গে তাঁর একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল। সেখান থেকে যাবতীয় টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন ছেলে। এখানেই শেষ নয়, বেকার ভাতার টাকাতেও হাত দেয় তাঁরা। জানা গিয়েছে, মেয়ের থেকেও টাকা নেওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। তবে ঝামেলা শুধু নয় টাকা নিয়ে নয়। বাড়ির যাবতীয় কাজ নাকি করতে হত বৃদ্ধকে। যাকে কেন্দ্র করে অশান্তি।