সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে মামলা চলছিল। এবার সেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। ইতিমধ্যেই জেলেবন্দি বিএনপি নেত্রী। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বাড়াল আদালত। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১১টি মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।
[‘মূল স্রোতে ফিরতে চাইলে সুযোগ দিতে হবে মাদকাসক্তদের’, নির্দেশ হাসিনার]
রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। দারুসসালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে ৮টি মামলা, যাত্রাবাড়ি থানায় হত্যার অভিযোগে মোট দু’টি মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি মামলা আছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয়েছে দাবি তুলে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকি এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার ইনষ্টিটিউটের (আইইবি) একটি অনুষ্ঠানে খালেদা বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামি লিগের কাছে কোনও ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।”
[খালেদা জিয়াহীন বিএনপি? প্রক্রিয়া শুরু দলের স্থায়ী কমিটির]
মামলাতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতির দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে এখন পুরনো কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে।
The post খালেদার বিরুদ্ধে এবার ধর্মবিদ্বেষ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা appeared first on Sangbad Pratidin.