সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ হয়েছেন এক সপ্তাহও পার হয়নি এরইমাঝে বিহারের বাহুবলী নেতা পাপ্পু যাদবের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক আসবাবপত্রের ব্যবসায়ী। এই মর্মে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, পাপ্পু ও তাঁর সঙ্গীরা ১ কোটি টাকা চেয়ে ফোন করে তাঁকে। টাকা না দিয়ে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন পাপ্পু।
রাজা নামের ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সঙ্গীদের সঙ্গে মিলে পাপ্পু যাদব (Pappu Yadav) প্রথমে ১০ লাখ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি দেয়। এর পর দফায় দফায় ১৫ লাখ, ২৫ লাখ এবং শেষে ১ কোটি টাকা চাওয়া হয়। হোয়াটস অ্যাপ কল করে তাঁর কাছে এই টাকা চান খোদ পাপ্পু। টাকা না দিলে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পূর্ণিয়ার (Purnia) পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ বর্মা বলেন, ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর আবেদন মেনে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে রাজাকে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিযোগিতা মানেই যুদ্ধ নয়’, নয়া সরকারকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মোহন ভাগবতের]
এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তাও দেন তিনি। যেখানে অভিযোগ অস্বীকার করে পাপ্পু লিখেছেন, 'দেশ তথা রাজ্য রাজনীতিতে আমার প্রভাব বাড়ছে। সাধারণ মানুষ আমায় ভালবাসেন স্নেহ করেন, এই ঘটনা কিছু মানুষের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। যার জেরেই আমার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক ও কিছু রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ব্যক্তির এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হবে খুব শীঘ্রই। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। যে দোষী হবে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হোক।'
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা হলেও এবার নির্দল হিসেবে পূর্ণিয়া আসন থেকে নির্বাচন লড়ে জয়ী হয়েছেন পাপ্পু যাদব। এই আসনে লড়ার জন্য শুরুতে কংগ্রেসের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন তিনি। তবে মহাজোটের আসন ভাগাভাগিতে আরজেডির হাতে চলে যায় পূর্ণিয়া আসন। এই ঘটনায় দলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দেন পাপ্পু। এবং নির্বাচনে আরজেডি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। তবে বাহুবলী নেতার জয়ের পরই তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ পাপ্পুর বিরুদ্ধে।