সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে ঢুকতে বাধা শ্বশুরবাড়ির। প্রতিবাদে ঘরের সামনেই ধরনায় নববধূ। শেষমেশ রাতে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ঘরে ঢুকলনে বধূ। দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকার ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকার বাসিন্দা অশোক পাত্রর ছেলে তন্ময় পাত্রর সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুস্মিতা ঘোষের। বিয়ের পর থেকেই এই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তারই মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে ঘুরতে যান নববধূ। কিছুদিন পর শ্বশুরবাড়ি ফিরে এলে তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু নিজের ন্যায্য সম্মান ফিরে পেতে ধরনায় বসতে হয় নববধূকে। শেষমেষ মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন সুস্মিতা।
[আরও পড়ুন: মোদিকে চিঠি লেখার হুঁশিয়ারি মমতার, ‘মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন’, পালটা বিবৃতি বিশ্বভারতীর]
চলতি বছরই নবদম্পতি বেলিয়াতোড়ে অষ্টমঙ্গলা সেরে ফেরেন দুর্গাপুরে। ফের নিয়ম মেনে বাবার বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছুদিন থাকেন সুস্মিতা। গত শনিবার সেখান থেকে শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসতেই যাবতীয় কাণ্ড ঘটে। শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে বাধা পাওয়ায় সেই রাতে দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন সুস্মিতা। এরপর মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির দরজায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সন্ধের পরেও দরজা খোলা হয়নি বলে অভিযোগ।
বিষয়টি জানাজানি হতেই নববধূর পাশে দাঁড়ান এলাকার মানুষজন। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুর থানার ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এবং তৃণমূল নেত্রীর হস্তক্ষেপে সুস্মিতাকে শ্বশুরবাড়ি ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী তন্ময় পাত্র। অসীমাদেবী বলেন, ” অত্যন্ত ঘৃণ্য ঘটনা। ভবিষ্যতে সুস্মিতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকেও কড়া ভাষায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বলা হয়েছে।” পুলিশের তরফেও নজরদারি চলবে বলে জানা গিয়েছে।