সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জনেরই পরনে লাল পোশাক। মুখে মৃদু হাসি। রাজস্থানের জয়সলমেরে ঘনিষ্ঠ লোকজনকে নিয়ে বিয়ে সারার পরদিনই সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লি ফিরলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। নবদম্পতিকে ঘিরে দিল্লি বিমানবন্দরে উপচে পড়া ভিড়। পাপারাৎজিদের ধন্যবাদ জানালেন সেলেব কাপল। কিয়ারা নিজে হাতে মিষ্টিমুখও করালেন সকলকে।
মন দেওয়া নেওয়া হয়েছিল বহু আগেই। তবে গত মঙ্গলবার সামাজিক রীতিনীতি মেনে গাঁটছড়া বাঁধেন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। পড়ন্ত রোদকে পিছনে রেখে সিদ্ধার্থের গালে চুম্বন করে একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেন দু’জনে।
কিয়ারার পরনে তখন আইভরি রংয়ের লেহেঙ্গা এবং সবুজ পান্নার গয়না। আইভরি রংয়ের শেরওয়ানি এবং মাথায় পাগড়ি বেঁধে বর আসনে তখন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা।
[আরও পড়ুন: এক হাতে থ্রি ডি ক্যামেরা, ক্যানসার অস্ত্রোপচারে শহরে হাজির অত্যাধুনিক রোবট]
বুধবার জয়সলমের থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা। বিয়ের পর প্রথমবার দু’জনে একেবারে সাদামাটা লুকে ধরা দেন। নববধূ কিয়ারার হাতে গোলাপি রংয়ের চূড়া এবং গলায় মঙ্গলসূত্র। পরনে কিয়ারা পরেছিলেন কালো রংয়ের পোশাক। সঙ্গে ছাই রংয়ের চাদর। কালো জ্যাকেট এবং জিনস পরেই দেখা গিয়েছে সিদ্ধার্থকে।
এরপরই লাল পোশাকে দিল্লি বিমানবন্দরে ধরা দেন নবদম্পতি। মাথায় সিঁদুর, গলায় মঙ্গলসূত্রের পাশাপাশি কিয়ারার পরনে ছিল লাল রংয়ের সালোয়ার স্যুট। সিদ্ধার্থের পরনে লাল পাঞ্জাবি এবং পায়জামা। কাঁধে কাশ্মীরি শাল।
কিয়ারা সকলকে মিষ্টিমুখ করান। বলেন, “এটা আপনাদের জন্য। মিষ্টিমুখ হয়ে যাক।” সিদ্ধার্থও সকলের দিকে মিষ্টির বাক্স এগিয়ে দেন। বলেন, “এটা সংবাদমাধ্যমের ভাইবোনেদের জন্য।” দু’জনেই পাপ্পারাজ্জিদের ধন্যবাদও জানান।
বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থ-কিয়ারার রিসেপশন পার্টি। আত্মীয়রাই মূলত এদিনের রিসেপশন পার্টিতে আসবেন বলেই খবর। এরপর মুম্বইয়ে পাড়ি দেবেন তাঁরা। ১২ ফেব্রুয়ারি সেখানেও একটি রিসেপশন পার্টি রয়েছে। বি টাউনের অনেকের ওই পার্টিতে অংশ নেওয়ার কথা। মুম্বইয়ের ৭০ কোটি টাকার বাংলোতেই সংসার পাতবেন দু’জনে।