রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। ইডির পর এনআইএ। তিন মাসের মাথায় ফের রাজ্যে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকরা হামলার শিকার হন। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানা এলাকায় নাড়ুয়াবিড়লা গ্রামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। নিহতদের একজনের স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বাজি তৈরি করার সময় এই বিস্ফোরণ হতে পারে। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, তা এক তৃণমূল নেতার বাড়ি বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লেখা হয়। তার পরেই এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই মামলার তদন্তে এবার কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দফায় দফায় বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে। যদিও কেউ তলবে সাড়া দেননি। লোকসভা ভোটের মুখে ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল নেতাদের তলব করা হচ্ছে বলেই দাবি শাসক শিবিরের।
[আরও পড়ুন: ভুতুড়ে হাসি, গান! ওয়াটগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ি ঘিরে দানা বাঁধছে আতঙ্ক]
শনিবার ভোরে ভগবানপুর ২ ব্লকের অর্জুননগর এলাকা থেকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। এই দুজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁরা হাজিরা দেননি বলেই গ্রেপ্তার। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই নেতাকে নিয়ে বেরনোর সময় এনআইএ হামলার শিকার হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা ফের ফেরাল সন্দেশখালি কাণ্ডের স্মৃতি। গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির 'ত্রাস' শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তার ঠিক তিন মাসের মাথায় এবার ভোটমুখী বাংলায় হামলার শিকার এনআইএ। আর তা নিয়ে তৃণমূল দুষেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির দাবি, তৃণমূলের মদতে স্থানীয় মহিলারা হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূলের কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।