অর্ণব আইচ: বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে বাংলা যোগ! শুক্রবার দুই চক্রীকে দিঘা থেকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। তারা কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত তারা লুকিয়ে ছিল বলেই খবর। ধৃত দুজন আইসিসের সদস্য হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুজনকেই ট্রানজিটে বেঙ্গালুরু নিয়ে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, ধৃতরা হল আবদুল মাথিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাহজেব। দুজনেই পরিচয় গোপন করে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে খবর। বদলে ফেলেছিল ভোলও। রীতিমতো ছদ্মবেশে মাথিন ও হুসেন আত্মগোপন করে থাকছিল। এদিন সকালে গোপন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে NIA।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে গড় বাঁচাতে ‘জাত গোখরো’ই বিজেপির অস্ত্র, রবিবার থেকে প্রচারে মিঠুন]
সূত্রের দাবি, মাথিন রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের মূল চক্রী। কোথায়, কীভাবে বিস্ফোরণ হবে? কোন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে, তা পুরোটাই নাকি মাথিনের অঙ্গুলিহেলনে হয়েছিল। তাঁর সহযোগী ছিলেন হুসেন। তিনি আবার নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সে নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন। ধৃতদের আইসিস যোগ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। এহেন দুজনে কাঁথি চত্বরে গাঢাকা থাকা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "ভোট প্রচারে ব্যস্ত কেন্দ্রের মোদি সরকার। তাই শুধু কলকাতা বা বাংলা নয়, উত্তর পূর্বের একাধিক এলাকায় ডেরা বাঁধছে জঙ্গিরা। কেন্দ্রের ব্যর্থতায় দেশে ঢুকছে জঙ্গিরা।" যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, "দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিমূলক কার্যকলাপ করে বাংলায় এসে আত্মগোপন করে সন্ত্রাসবাদীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার জেহাদিদের সহযোগিতা করে।"
[আরও পড়ুন: ইদে মন্নত, গ্যালাক্সির সিংহদুয়ারে জনজোয়ার! শাহরুখ-সলমনের ভক্তদের লাঠিচার্জ পুলিশের]
প্রসঙ্গত, মার্চের শুরুতেই বেঙ্গালুরুর এক রেস্তরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। কুণ্ডলাহল্লিতে রামেশ্বরম নামের রেস্তরাঁতে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় শিউরে ওঠে গোটা দেশ। এই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের আহত হয়।