শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাগরদিঘি থানার ওসি বদল। নতুন ওসি হলেন নিমাই ঘোষ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। এদিকে, এদিন সাগরদিঘি শেষ প্রচার সারেন বিজেপি রাজ্য সভাপকি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সাগরদিঘির ওসি ছিলেন শাসকদলের দলদাস। নির্বাচন কমিশন ওনাকে বদলি করেছে। ক’দিন উনি বিশ্রাম নিন। নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁর দলদাস পুলিশ আধিকারিককে আবার সাগরদিঘিতে ফিরিয়ে আনবেন।”
সাগরদিঘি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের আগে স্থানীয় প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা সাইদুল রহমানকে ১৫ বছরের পুরনো এক ঘটনার ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছিল সাগরদিঘি থানার পুলিশ। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। ওই নেতার জামিন চেয়ে হাই কোর্টে যায় কংগ্রেস। আদলতকে তারা জানায়, সাইদুল দলের পক্ষ থেকে উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছে। সেই জন্যই শাসক দলের নির্দেশে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কংগ্রেসের আবেদেনের ভিত্তিতে কংগ্রেস নেতার জামিন মঞ্জুর করে হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ‘ইংরেজি জানি না স্যর’, শুনেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি শিক্ষককে বললেন, ‘গেট আউট’]
সাইদুল রহমানের গ্রেপ্তারির প্রভাব পড়ে জাতীয় রাজনীতির মঞ্চেও। রায়পুরে এআইসিসি প্লেনামে এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রাথীকে অনৈতিকভাবে পরাস্ত করতে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ‘ফাঁসানো’র চেষ্টা হচ্ছে। অধীরের চিঠি পাওয়ার পরই সক্রিয় হয়ে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তারপরই ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। সেই অনুযায়ী রাতারাতি ওসি বদল করা হয়।