সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষায় কেউ পাশ করতে পারেনি, কেউ বা একটি, দুটি বিষয়ে ফেল করেছে। এই ব্যর্থতা মেনে নিতে পারেননি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। আর তাই ফলাফল বেরনোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরপর ৯ জন ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার (Suicidde) খবর মিলল অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে। গত কয়েকমাসে এনিয়ে সেখানে অনেক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। যার জেরে পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
গত বুধবার অন্ধ্রের (Andhra Pradesh) একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গিয়েছে, একাদশে পাশের হার মাত্র ৬১ শতাংশ, দ্বাদশে তা একটু বেশি, ৭২ শতাংশ। দুই শ্রেণি মিলিয়ে মোট ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিল। তাদের অনেকেই পাশ করতে পারেনি। আর সেই হতাশা থেকে নিজেদের শেষ করে দিয়েছে ৯ ছাত্রছাত্রী। শ্রীকাকুলামে চলন্ত ট্রেনের (Running Train)সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বি তরুণ নামে ১৭ বছরের এক কিশোর। পরিবার সূত্রের খবর, ছেলেটি ইন্টারমিডিয়েটে অধিকাংশ বিষয়ে পাশ করতে পারেনি। তাই মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছিল।
[আরও পড়ুন: মামলা হাতছাড়া হওয়ায় ‘মনখারাপ’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, কী বলছে বিরোধী দলগুলি?]
এছাড়া ত্রিনাধাপুরম, কাঞ্চারাপালেমে এক ছাত্র ও এক ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রথমজন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। দ্বিতীয়জন অবশ্য একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল বলে খবর মিলেছে। তা সত্ত্বেও গলায় দড়ি দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে ১৮ বছরের ওই তরুণ। এভাবেই চিত্তুর, আনাকাপল্লি-সহ একাধিক জায়গা থেকে ছাত্রছাত্রীদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একজন পরীক্ষায় পাশ করলেও নম্বর অনেক কম হওয়ার অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা ৯। তবে দু’জনকে মৃত্যুর পথ থেকে বাঁচানো গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আজ আমার মৃত্যুদিন’, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘অভিমানী’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
চলতি বছরই দেশের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি’র বিভিন্ন শাখা থেকে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বেশিরভাগ ঘটনার নেপথ্যে পড়াশোনায় ব্যর্থতার কথা উঠেছে। এরপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশের পর ৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনায় পরীক্ষা ব্যবস্থা ও উচ্চশিক্ষায় সামগ্রিক পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।