সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও সংস্থাকেই ইন্টার্ন অর্থাৎ শিক্ষানবিশ কর্মী নিয়োগে বাধ্য করা হবে না। বাজেট পেশের পরই সুর বদলে ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি জানিয়ে দিলেন, ১ কোটি ইন্টার্ন নেওয়ার যে ঘোষণা বাজেটে করা হয়েছে, সেটা কার্যকর করার জন্য কোনও সংস্থাকে চাপ দেওয়া হবে না।
অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশের সেরা ৫০০ সংস্থায় কোনও ২০২৪ লোকসভায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার সামান্য ধাক্কা খেয়েছে, তার অন্যতম কারণ বেকারত্ব। কর্মসংস্থানের অভাব যে সত্যিই বড় সমস্যা, সেটা আর্থিক সমীক্ষায় মেনেও নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সমস্যা মেটাতে বাজেটে একটি 'কৌশলী' ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
[আরও পড়ুন: সংসদে দাঁড়িয়ে ‘স্টুপিড’ কটাক্ষ, কংগ্রেস সাংসদকে নিশানা করে বিতর্কে অভিজিৎ]
বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। তাঁদের ন্যূনতম বেতন হবে পাঁচ হাজার টাকা। বাজেটে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্নদের নিয়োগ করা হবে। তাঁদের বেতনের ৫০০০ টাকা দেবে সরকার। কিন্তু ওই ইন্টার্নদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণের খরচ দেবে বেসরকারি সংস্থাগুলি।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভূক্ত করা হোক’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি সুকান্তর]
অর্থমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পরই বেসরকারি চাকরিক্ষেত্রে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বেসরকারি সংস্থার কাজের বাজারে সরাসরি কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ শেষমেশ কাজের বাজারকেই প্রভাবিত করবে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেন একাধিক প্রথম সারির কর্তারা। বিরোধী শিবির থেকেও প্রশ্ন তোলা শুরু হয়, এভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইন্টার্ন নিতে বাধ্য করলে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাজের গতি স্লথ হতে পারে। সেই বিতর্ক থামাতে বড়সড় ঘোষণা করে দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানিয়ে দিলেন, বড় সংস্থাগুলিকে এই ধরনের ইন্টার্ন নিতে বাধ্য করা হবে না। তবে সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করা হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যদি দেশের সেরা সংস্থাগুলিই ইন্টার্নদের না নেয়, তাহলে যে কর্মসংস্থানের কথা বলছেন অর্থমন্ত্রী, সেটা হবে কী করে? হলেও সেটার মান সঠিক হবে কি?