shono
Advertisement

‘জোরে হাওয়া বইছিল, তাই ভেঙেছে ব্রিজ’, আজব যুক্তি আইএএস অফিসারের

আজব যুক্তিতে হতবাক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি।
Posted: 07:14 PM May 10, 2022Updated: 07:14 PM May 10, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেতু ভেঙে পড়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা এদেশে খুব বিরল নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্য়ি। কিন্তু সেতু ভেঙে পড়ার কারণ হিসেবে যদি বলা হয়, জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই ঘটেছে দুর্ঘটনা, তাহলে অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। সম্প্রতি বিহারের এক দুর্ঘটনার পিছনে থাকা এমনই আশ্চর্য কারণের কথা শুনে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি নিজেই জানিয়েছেন তাঁর এমন অভিজ্ঞতার কথা।

Advertisement

গত ২৯ এপ্রিল বিহারের সুলতানগঞ্জে নির্মীয়মাণ এক সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। কেউ হতাহত হননি ওই দুর্ঘটনায়। এই দুর্ঘটনাটির প্রসঙ্গে খবর নিচ্ছিলেন গড়করি। তখনই এক আইএএস অফিসার তাঁকে বলেন, জোরে হাওয়া দেওয়ার কারণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ব্রিজ। যা শুনে তাজ্জব হয়ে যান গড়করি।

[আরও পড়ুন: অশনিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে জল জমা, এক ফোনেই হবে সমাধান, রইল হেল্পলাইন নম্বর]

তাঁর কথায়, ”গত ২৯ এপ্রিল ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। আমার সচিবকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, জোরে হাওয়া দিচ্ছিল বলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না কী করে স্রেফ জোরে হাওয়া দিলেই কোনও ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে! কিছু না কিছু সমস্যা তো ছিলই। মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস না করে আমাদের ভাল কাজ করতে হবে।”

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ”দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে খারাপ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার দিকটা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। ১৭১০ কোটি টাকা খরচে নির্মীয়মাণ একটা সেতুর একাংশ এভাবে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়তে পারে না।”

২০১৪ সালে সুলতানগঞ্জ ও আগুনি ঘাটের মধ্যবর্তী ওই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা ও করোনা পরিস্থিতিতে এখনও সেই কাজ শেষ হয়নি।

[আরও পড়ুন: বড়বাজারে তদন্তে গিয়ে বিপত্তি, পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে জখম ৩ পুলিশ কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার