সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতীশ রানা–শুক্রবারের ইডেনে তাঁকে নামতে দেখা গেল। বাঁ হাতের দুটো আঙুল সাদা টেপ দিয়ে একসঙ্গে বাঁধা। জানা গেল, তার বসাতে হয়েছে। অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। নীতীশ ফিরবেন কবে, এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ নেই।
হর্ষিত রানা–ইডেনে কিছুক্ষণ বোলিং করলেন কেকেআর পেসার। কাঁধের চোটের কারণে গত দুটো ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়নি যাঁর পক্ষে। টিম এখনও তাঁকে দেখছে। পর্যবেক্ষণে রাখছে। বোঝার চেষ্টা করছে, ম্যাচ ফিট তিনি এখনও হয়েছেন কি না?
ঘটনা হল, দুই গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় ক্রিকেটারের চোট কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে কেকেআর শিবিরকে। সিএসকে ম্যাচ পর্যন্ত অসুবিধে হয়নি। কারণ, টিম তখন জিতছিল। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে একপেশে হারার পর কয়েকটা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কেকেআর।
[আরও পড়ুন: মাঠের মধ্যেই কানে হাত! হঠাৎ কেন দর্শকদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন কোহলি?]
যেমন, টিমের মিডল অর্ডার। যেমন, টিমের ভারতীয় পেস আক্রমণ।
না, এমন নয় যে, বৈভব অরোরা ভালো বোলিংই করছেন। উইকেটও নিচ্ছেন প্রতি ম্যাচে। কিন্তু শোনা গেল, নাইট পরিকল্পনায় নাকি বরাবরই এক নম্বর পছন্দ হর্ষিত। যিনি ভালো গতিতে বল করেন বলে শুধু নয়, চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রাখতেও জানেন। সেটা ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হেনরিক ক্লাসেন ঝড়ের মধ্যেও বোঝা গিয়েছে। যখন শেষ ওভারে হাতে মাত্র তেরো রান নিয়ে কেকেআরকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন হর্ষিত।
মহানাটকীয় শেষ ওভারে ক্লাসেন আর শাহবাজ আহমেদকে আউট করে। আরসিবি-র বিরুদ্ধেও ভালো বোলিং করেছিলেন হর্ষিত। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস এবং চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলা হয়নি তাঁর। এ দিন ইডেনে তাঁকে বোলিং করতে দেখা গেল বটে। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ বললেন যে, হর্ষিত একশো শতাংশ ফিট কি না, সেটা আগে দেখতে হবে। আশি শতাংশ ফিট বোলারকে মাঠে তো আর নামানো
যায় না। নেটে বোলিং করা এক জিনিস। আর মাঠে নেমে ব্যাটারের আগ্রাসনের মুখে বল করা আর এক।
নীতীশ রানাকে আবার দেখা গেল, কখনও এক হাতে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করছে। চোটগ্রস্ত হাতকে পিঠের পিছনে লুকিয়ে। কখনও একই ভাবে ব্যাট করার চেষ্টা করছে। এক হাতে। শোনা গেল, নীতীশ প্রবল ভাবে চাইছেন মাঠে ফিরতে। ডাক্তারকে নাকি বারবার সেটা বলছেনও। কিন্তু এখনই সেটা ঘটার সম্ভাবনা নেই। আরও কয়েকটা ম্যাচের আগে তাঁর পক্ষে ফিট হওয়া সম্ভব হবে না। নীতীশ না ফিরলে মিডল অর্ডারে পরিবর্তনের কথাও ভাবা সম্ভব হচ্ছে না। ভেঙ্কটেশ আইয়ার দারুণ ছন্দে, কখনওই বলা যাবে না। মাঝে একটা ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ঠিকই। কিন্তু সিএসকে-র বিরুদ্ধে মহেশ থিকসানার স্পিনের সামনে যে ভাবে বারবার পরাস্ত হয়েছে, অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। নীতীশ ফিরে এলে অনায়াসে যে বিকল্পের কথা ভাবা যায়। কিন্তু ফিরলে তো?
শোনা গেল, নাইট মেন্টর গম্ভীর এ দিনও ফিজিও-র সঙ্গে বসে জানতে চেয়েছেন, টিমে এত চোট-আঘাত হচ্ছে কেন? সবে টুর্নামেন্ট শুরু হল। চারটে ম্যাচ হয়েছে মাত্র। এখনও দেড় মাস বাকি। দিন যত যাবে, গরম তত বাড়বে। আর এখনই টিমে এত চোট? আসলে গম্ভীরের নাকি বিশ্বাস করেন, দলের ভারতীয় ক্রিকেটাররাই আসল। বিদেশি যত ভালোই হোক, চারটের বেশি খেলানো যায় না। এবার ভারতীয় প্লেয়াররাই যদি চোটে আক্রান্ত হয়ে পড়েন এ ভাবে, তা হলে শান্তিতে থাকার উপায় কোথায়?