সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মে মাসেই আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শেষ হয়েছিল। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল, চলতি বছরের শেষের দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। দ্রুত নির্বাচনের দাবিও জানাচ্ছিল রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার সমাপ্তি। এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত এই প্রদেশে। নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ প্রায় এক মাস পিছিয়ে দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরই ওই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই সময়সীমার মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তালিকা প্রকাশের তারিখ পিছিয়ে ২৫ নভেম্বর করা হয়েছে বলেই জানাচ্ছে কমিশন। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া। এতটা দেরি হয়ে যাওয়ার ফলে আর এই বছরে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: আগেই মিলেছিল ভাঙনের আঁচ, তবুও নীতীশ কুমারকে কেন আটকাল না বিজেপি]
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। ম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দেওয়া হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ (Ladakh)। এরপরই নিশ্চিত হয়ে যায়, সংবিধানের নিয়ম মেনে এবার এখানকার লোকসভা ও বিধানসভার আসনেরও পুনর্বিন্যাস করতে হবে। প্রায় আড়াই বছর পরে গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস খসড়া প্রস্তুত করে সরকারের তৈরি করা কমিটি। ওই মাসেরই ২০ তারিখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা বলবৎ করে কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, চলতি বছরেই নির্বাচন হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীরে।
গত জুনে জম্মুতে এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হলেও হতে পারে।” কিন্তু অবশেষে যা পরিস্থিতি তৈরি হল তাতে প্রায় নিশ্চিত, এবছর আর নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে।