সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক ফি জমা দিয়ে সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন করবেন ছাত্রছাত্রীরা। হস্টেল ফি বাবদ একটি টাকাও দেবেন না। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়াল বাম পরিচালিত ছাত্র সংসদ।
হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রায় ৮০ দিন ধরে চলা ছাত্র সংসদের আন্দোলনের জন্য সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। এতদিন বারবার এই বক্তব্য রেখে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার তাদের বিরুদ্ধে মোক্ষম চাল দিল জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ। তাঁরা শুধুমাত্র সেমিস্টারের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বানচাল বড়সড় নাশকতার ছক, হিজবুল ও লস্কর জঙ্গির সঙ্গে ধৃত কাশ্মীর পুলিশের DSP]
শনিবার ছাত্র সংসদের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে বসেন সভাপতি ঐশী ঘোষ, সহ-সভাপতি সাকেত মুন, সাধারণ সম্পাদক সতীশচন্দ্র যাদব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ দানিশ। সেখানে প্রথমে ৪ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির বিস্তারিত বিবরণ দেন তাঁরা। এরপরই ঐশী ঘোষণা করেন তাঁদের নতুন সিদ্ধান্ত। বলেন, “মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ঠিক করতে আমরাই যেন প্রথম পদক্ষেপ নিই। সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অ্যাকাডেমিক ও রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে আমরা সেমেস্টারের রেজিস্ট্রেশন করব। তবে বর্ধিত হস্টেল ফি নিয়ে যেহেতু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তাই সেই বাবদ এক পয়সাও দেব না আমরা।”
সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে দিল্লি পুলিশের ‘পক্ষপাতিত্বমূলক অনুসন্ধান’ প্রসঙ্গ। সহ-সভাপতি সাকেত মুন বলেন, “কখনও শুনেছেন কোনও তদন্ত চলার মাঝপথে পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করেছে?” সাধারণ সম্পাদক সতীশচন্দ্র যাদবের দাবি, “এবিভিপি-র মুখোশধারী গুন্ডাদের আড়াল করতেই এই কাজ করেছে পুলিশ।” যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দানিশের প্রশ্ন, “পুলিশের কাছে কোন সফটওয়্যার আছে জানি না, যাতে ভিডিওতে ঝাপসা হয়ে থাকা মুখকে শনাক্ত করা যায়, অথচ এবিভিপি নেতার পরিষ্কার ছবি চেনা যায় না!”
[আরও পড়ুন: ‘লড়াই চালিয়ে যাও, পাশে আছি’, ঐশীর সঙ্গে দেখা করে অনুপ্রেরণা দিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী]
এদিকে, চাপের মুখে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘ইউনিটি এগেন্সট লেফট’ নামে হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপের ৩৭ জনকে ৫ জানুয়ারি হিংসা ছড়ানোর দায়ে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দশজন বহিরাগত। যদিও পুলিশের এই দাবিকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না ছাত্র সংসদ।ঐশীর বক্তব্য, “পুলিশকে বলা সত্ত্বেও ওরা কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে আমাকেই বিভিন্ন জায়গায় দৌড়তে হয়েছে। বলা হচ্ছে আমার আশপাশে অনেকে মুখ ঢেকে ছিল। আমার মুখে কি কোনও কাপড় ছিল? না কি আমার হাতে অস্ত্র ছিল?”
The post ‘হস্টেল ফি এক পয়সাও দেব না’, সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে চাপ বাড়াল JNU ছাত্র সংগঠন appeared first on Sangbad Pratidin.