সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সুখবর! ওমিক্রনশূন্য বাংলা (West Bengal)। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কেউ আক্রান্ত নন। যে তিনজন আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ। মালদহের যে ৭ বছরের শিশু ওমিক্রন (Omicron) পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে হায়দরাবাদ থেকে রাজ্যে প্রবেশ করায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া শিশুর মা-বাবা ও পরিবারের সকলের করোনা (Coronavirus) পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ। অন্যদিকে, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এ রাজ্যে আসা বাংলাদেশি নাগরিকের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল এসেছে এদিন। জানা গিয়েছে, তিনিও ওমিক্রন আক্রান্ত নন। ফলে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ওমিক্রনের কোনও কেস নেই।
গত ১০ তারিখ আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে দমদম বিমানবন্দরে (DumDum Airport) নামে বছর সাতের শিশু। মা-বাবার সঙ্গে মালদহের কালিয়াচকে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। হায়দরাবাদ থেকে ওমিক্রন স্ট্রেন নিয়ে ফিরেছে সে। এই সন্দেহে তাকে হাসপাতালে ভরতি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তবে একদিন যেতে না যেতেই শিশুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টেও ওমিক্রনের হদিশ মেলেনি। পরিবারের বাকি সদস্যদের কোভিড-১৯ (COVID-19) রিপোর্টও ‘নেগেটিভ’। এমনটাই জানিয়েছেন মালদহের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক।
[আরও পড়ুন: Omicron: একদিন পরই মিলল স্বস্তি, ওমিক্রন আক্রান্ত মুর্শিদাবাদের শিশুর রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’]
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) পাপড়ি নায়েক জানিয়েছেন, “প্রত্যেকেরই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে। আপাতত ওই শিশু, তার দিদি ও বাবা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ পেলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পরবর্তীতে আরও কিছুদিন বাড়িতেই আইসোলেশন থাকবেন ওই পরিবার। এরপর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফেও মালদহের ওই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয়। জানানো হয়, যে শিশু হায়দরাবাদ থেকে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যে ঢুকেছিল, সে আপাতত করোনা নেগেটিভ। তাদের পরিবারে কেউই করোনা আক্রান্ত নন।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, নির্জন জায়গায় ডেকে চুম্বনের পর প্রেমিককে গুলি নাবালিকার!]
অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে যে প্রৌঢ় পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছিলেন, তাঁর শরীর করোনা ধরা পড়ায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (Genom Sequencing) জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে, তাঁর ওমিক্রন হয়নি। তারও আগে লন্ডন ফেরত কলকাতার তরুণীর শরীরেও নয়া স্ট্রেন মেলেনি। ফলে এই মুহূর্তে সবমিলিয়ে স্বস্তির খবর রাজ্যে। এখনও থাবা বসাতে পারেনি ওমিক্রন।