shono
Advertisement

Breaking News

মায়ানমারের বিচার করার অধিকার কারও নেই, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের

‘সশস্ত্র সংঘাত থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার’ কাজ করছে বার্মিজ সেনা। The post মায়ানমারের বিচার করার অধিকার কারও নেই, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:52 PM Sep 24, 2018Updated: 07:52 PM Sep 24, 2018

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ‘গণহত্যার জন্য জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মায়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের করার সুপারিশ করার এক সপ্তাহের মাথায় দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেছেন, তার দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কোনও দেশ, সংস্থা বা গোষ্ঠীর নেই। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে রাষ্ট্রসংঘ। সেনাপ্রধান বলেন, মায়ানমারে গণতন্ত্র বিকাশের পথ তৈরি করতে ‘সশস্ত্র সংঘাত থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার’ কাজ সেনাবাহিনী চালিয়ে যাবে এবং রাখাইনের ঘটনা নিয়ে ‘অগ্রহণযোগ্য কোনও দাবি’ সেনাবাহিনী মেনে নেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায়]

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রাখাইনের ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর পর এই প্রথম জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা বললেন। মায়ানমারের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা মায়াবতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার নাইপিদাওতে সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র, রাষ্ট্রসংঘ ও রাখাইন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তিনি বলেন, বিশ্বের একেক দেশের গণতন্ত্র চর্চার ধরন একেক রকম। একটি দেশ সেই ধরনের গণতন্ত্রের চর্চা করে, যা তার জন্য উপযুক্ত। সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মায়ানমারও স্বাধীন একটি পররাষ্ট্র নীতির চর্চা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ একটি অবস্থান বজায় রেখে চলে। তাছাড়া রাষ্ট্রসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মায়ানমার যেসব চুক্তিতে সই করেছে, সেগুলো প্রতিপালন করে। প্রতিটি দেশ যেহেতু নিজের মতো করে আলাদা মানদণ্ড ও আদর্শ নির্ধারণ করে, সেহেতু তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বা তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কোনও দেশ, কোনও সংস্থা বা কোনও গোষ্ঠীর নেই। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে গেলে যেমন ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, একইভাবে কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রেও একই ফল হতে পারে বলে সতর্ক করেন মায়ানমারের।

[ধাক্কা খেল মায়ানমার, রোহিঙ্গা নিধনে তদন্ত শুরু আন্তর্জাতিক আদালতের]

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মায়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) বা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়েছে। এই মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, “তাতমাদো যতদিন আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে, ততদিন শান্তি ফেরানো সম্ভব হবে না। মায়ানমারের উন্নয়ন এবং একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে ওঠার পথে দেশটির সেনাবাহিনীই সবচেয়ে বড় বাধা। এদিকে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তও শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আন্তর্জাতিক চাপে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গতবছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

The post মায়ানমারের বিচার করার অধিকার কারও নেই, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার