গৌতম ব্রহ্ম ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পুজোর আগে মধ্যবিত্তের স্বস্তি। দাম বাড়ছে না পাঁউরুটির (Bread)। রাজ্য সরকার ভরতুকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দাম বাড়াতে হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পাঁউরুটির দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলেন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক তথা বিধায়ক ইদ্রিস আলি। পাঁউরুটি শিল্পের ক্ষতি নিয়ে তিনি অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাতেই সুরাহা মেলে। জানানো হয়, রাজ্য সরকার বেকারি শিল্পে প্রয়োজনীয় ভরতুকি দেবে, তাতে দাম বাড়বে না পাঁউরুটির। এই খবর জানিয়েছেন ইদ্রিস আলির আপ্ত সহায়ক মফিজুল হক।
এ মাসের গোড়াতেই দাম বেড়েছিল পাঁউরুটি, কেক, বিস্কুটের। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বর্ধিত দামে এসব কিনতে হচ্ছে আমজনতাকে। ৪০০ গ্রাম রুটিতে বেড়েছে ২ টাকা করে। অর্থাৎ খোলা বাজারে এই রুটির দাম ২৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। ১০০ গ্রামের পাউরুটির দাম সাত টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট টাকায়। শুধু পাউরুটি নয়, একধাক্কায় অনেকটা দাম বেড়ে গিয়েছিল বিস্কুটেরও। ময়দা ও চিনির দাম আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘চা ভরতি কেটলি-কাপ, ঝালমুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পুজোয় বিক্রি করুন’, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর]
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় পাঁউরুটির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ইদ্রিস আলি (Idrish Ali)। তিনি বলেন, ”মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে, পাঁউরুটির দাম সবচেয়ে কম। অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে দাম অনেক বেশি। কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতায় পাঁউরুটি শিল্পে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।” বিধায়ক ইদ্রিস আলি মাননীয় অধ্যক্ষ মহাশয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী সুব্রত সাহার কাছে বেকারি শিল্পকে ভরতুকি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের বিনিয়োগ টাটার, খড়গপুরে ছশো কোটির ইউনিটের ফিতে কাটলেন মুখ্যমন্ত্রী]
মন্ত্রী শ্রী সুব্রত সাহা বিধায়ক ইদ্রিস আলির প্রস্তাবকে সমর্থন করে বলেন, ”এতে রাজ্য সরকারের তরফে ৪০ ভাগ ভরতুকি দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে, খুব শিগগিরই ঘোষণা করব।” ফলে সামগ্রিকভাবে পাঁউরুটির দাম বাড়ছে না বলে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলি।