সুকুমার সরকার, ঢাকা: রাত পোহালেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day) পালিত হবে বিশ্বজুড়ে। তার সূচনা হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি থেকে। প্রতি বছরের মতো এবারও সোমবার ঠিক রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এরপর দেশবাসী শ্রদ্ধা জানাবেন ভাষা শহিদদের। এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিরাপত্তা নিয়ে সুখবর শুনিয়েছে ঢাকা সিটি পুলিশ। ঢাকায় (Dhaka)জঙ্গি হামলার কোনও আশঙ্কা নেই বলে আশ্বাস ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের।
রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলার (Terrorists Attack) কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। গত ডিসেম্বরে আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই কাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি এখনও পলাতক। তিনি বলেন, ”২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। রাত ১২টার পরপরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দু’ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পরে জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” দুই ভাগে শহিদ মিনারের নিরাপত্তা-সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতা খুনে সুপারি কিলার? বরাত দিল কে? তথ্য খুঁজছে পুলিশ]
ভাষাদিবস পালনে কী কী ব্যবস্থাপনা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য দেন পুলিশ কমিশনার। তিনি জানান, পলাশি থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহিদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যাঁরাই আসবেন আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করাতে হবে। এই সময় ব্যাগ অথবা অন্য কোনও জিনিস সঙ্গে নিয়ে আসবেন না। অন্যবারের মতো এবারও একইভাবে প্রবেশ করানো হবে। ভিভিআইপিরা দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রবেশ করবেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জিমনেসিয়াম মাঠে গাড়ি রেখে বাকিটা পথ হেঁটে আসবেন। আর সাধারণ মানুষজন পলাশি মোড় দিয়ে জগন্নাথ হল হয়ে প্রবেশ করবেন ও দোয়েল চত্বর-চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের ভাল হোক’, ‘অপারেশন দোস্ত’-এর জন্য ভারতকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ তুরস্কবাসীর]
করোনা (Coronavirus) পরবর্তী সময়ে যেহেতু পুরোপুরি উন্মুক্ত পরিবেশে এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন, ঢাকার নাগরিকরাও উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আসবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সহযোগিতা করছে।