সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘টয়লেট: এক প্রেমকথা’ (২০১৭) ছবিটির কথা সকলেরই মনে আছে। শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার না থাকার কারণেই চিড় ধরেছিল এক দম্পতির সম্পর্কে। সেটাই ছিল ছবির বিষয়বস্তু। এই সমস্যা যে কেবল কোনও কাল্পনিক কাহিনি মাত্র নয়, তা পরিষ্কার হয়ে গেল চেন্নাইয়ের (Chennai) এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্বামীর বাড়িতে শৌচাগার (Toilet) না থাকার কারণে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন এক গৃহবধূ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী হয়েছিল? তামিলনাড়ুর কাড্ডালোরে ২৭ বছরের রম্যা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় গত ৬ এপ্রিল। কিন্তু প্রথম থেকেই সমস্যা শুরু হয় শৌচাগার নিয়ে। ক্রমেই সেই গণ্ডগোল চরমে ওঠে। নববধূ প্রশ্ন তুলতে থাকেন, কেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার নেই। এমনকী, সেই কারণেই রম্যা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে থাকেনওনি। তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকতেন।
[আরও পড়ুন: পাশে মা-বাবা, বিকিনি পরে জন্মদিনের কেক কাটলেন আমিরকন্যা, ‘নির্লজ্জ’, কটাক্ষ নেটিজেনদের]
এদিকে স্বামীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত অশান্তি হতেই থাকে। রম্যা স্বামীকে প্রস্তাব দেন, শহরের অন্যত্র এমন কোনও বাড়ি ভাড়া নিতে, যেখানে শৌচাগার রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তাঁর স্বামী। ক্রমশই বাকবিতণ্ডা বাড়তে থাকে। ক্রমশই তাঁদের দাম্পত্যে ফাটল ধরে যায়।
গত সোমবার এই নিয়ে ঝগড়া চরমে ওঠে। এরপরই গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন রম্য়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয় রম্যাকে। এরপর সেখানেই মৃত্যু হয় রম্যার।
রম্যার মা ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।