ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুরভোটের প্রথম প্রচারসভা থেকে জনপ্রতিনিধিদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “স্থানীয় সমস্যা দেখতে হবে কাউন্সিলরদেরই। যে দেখতে পারবেন না, কাউন্সিলর হবেন না।” কাজ না করায় কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর এবার টিকিট পাননি বলেও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
গোয়া থেকে ফিরে বুধবার পুরভোটের প্রচারে বেরিয়েছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। ফুলবাগানে ছিল মমতার প্রথম প্রচারসভা। সেই প্রচার মঞ্চ থেকেই কাউন্সিলরদের কড়া বার্তা দিলেন তিনি। বললেন, “যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের বলে যাই, আমি কাউকে কিছু বললে বকার জন্য বলি না। সংশোধন করার জন্য বলি। পাড়ায় জল জমেছে, জল নেই। এটা দেখার কাজ কাউন্সিলরদের। যে দেখতে পারবেন না, কাউন্সিলর হবেন না।”
[আরও পড়ুন: Omicron: রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ, সংক্রমিত মুর্শিদাবাদের শিশু]
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, “একদিন গাড়ি করে যাচ্ছি। আমার পাড়ায় কয়েকজন গাড়ির সামনে এসে বললেন, জলের পাইপ খারাপ হয়ে গিয়েছে। জল পাচ্ছি না। আমি এলাকার কাউন্সিলরকে ফোন করে বলি, কেন জল পাচ্ছে না? এটা কাউন্সিলরের কাজ। দেখুন, এবার ওকে টিকিট দিইনি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, কাজ না করলে ভোটের টিকিট দেবে না তৃণমূল।
কাউন্সিলরদের কাজও বুঝিয়ে দেন মমতা। বলেন, “কোথাও বিপদ হলে প্রথমে কাউন্সিলর ছুটে যাবে। এটা মানুষের কাজ।” মানুষের কাজ ফেলে রাখা যাবে না, সেটাও সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, “ফায়ার লাইসেন্সটা হয়নি। সাতদিন ধরে মুখ দেখাচ্ছে। আমি ক’জনের মুখ দেখি? এ জগতে নেতা মনে করে তাঁদের যারা মানুষের কাজ করে।”
[আরও পড়ুন: আসানসোলগামী সরকারি বাস থেকে উদ্ধার প্রচুর ‘বিস্ফোরক’, আতঙ্ক বর্ধমানে]
পাশাপাশি অবৈধ নির্মাণ, এলাকায় তোলাবাজি নিয়েও সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, “আমার এলাকায় ঘরবাড়ি করবে, এত দিতে হবে এটা হবে না। এটা চলবে না। আসতে আসতে সব অনলাইনে হয়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “বসতিগুলো সব ঠিকা জমিতে। প্ল্যান পেত না। আইন করে দিয়েছি। প্ল্যান করে দিয়েছি। যারা বসতি বাড়িতে থাকত সত্ত্ব দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে এই সুযোগে কাউন্সিলররা বসতিবাসীদের উঠিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে কাউকে নিয়ে এসে মাল্টিস্টরিড বানিয়ে দেয়, এ যেন না হয়।”