নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শান্তিনিকেতন ছেড়ে লন্ডন যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার বোমা ফাটালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর দাবি, জমির মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। তবে বিএলআরও’র তরফে এবিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ থেকে বেরনোর সময় জমিজট নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েন অমর্ত্য সেন। জমিজট নিয়ে কি তিনি ব্যথিত, এমন প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দাবি, “মনে ব্যথার অবকাশ কই?” নাম না করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জমি নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে উপাচার্যকে করুন। ওরা যে হেনস্তা করেছে সেটা বোঝার বিষয়েও জ্ঞানহীন।”
[আরও পড়ুন: অগাধ সম্পত্তি নিয়ে চিন্তা থেকে অবসাদ, বর্ধমানে ৩ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য]
জমিজট সংক্রান্ত মীমাংসা হয়ে গিয়েছে বলেও জানান অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, “কেন অমীমাংসিত থাকবে? জমি আমার বাবার নামে ছিল। এখন জমি আমার নামে হওয়া উচিত। এটায় না করার কোনও কারণ ছিল না। আমার বাবার উউলে লেখা যে, ওঁর জীবন যখন শেষ হবে, জমি আমার মায়ের হবে। আর মায়ের পর আমি। এখানে তর্কের কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর তরফে জমি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তিন-তিনবার নোটিস পাঠানো হয় অমর্ত্য সেনকে। এসব বিতর্কের মাঝে গত ১১ তারিখ বোলপুর বিএলআরও (BLRO) অফিসে যান অমর্ত্য সেনের প্রতিনিধি। নোবেলজয়ী নিজের নামে জমি মিউটেশন করাতে চান বলে আবেদন জানানো হয়। সেই অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি মিউটেশনের শুনানি হয়। তা সত্ত্বেও জমিজট কাটেনি। তারপরেও অমর্ত্য সেনের এদিনের দাবি নিয়ে পালটা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিংবা বিএলআরও’র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।