সুকুমার সরকার, ঢাকা: একের পর এক বিতর্ক, বেহিসেবি জীবনযাপনের জের। জনপ্রিয় গায়ক মইনুল আহসান নোবেলের (Mainul Ahsan Noble) দিক থেকে মুখ ফেরালেন অনুরাগীরা। ইদ উপলক্ষ্যে তাঁর প্রকাশ করা গান চারদিনে দেখেছেন মাত্র ২৮ হাজার মানুষ! আগে যা মুহূর্তেই ছাড়িয়ে যেত মিলিয়নের গণ্ডি।
একটা সময় নোবেল ক্রেজে ভাসতেন বাংলাদেশের মানুষ। নোবেল মানেই ছিল ব্লকবাস্টার হিট। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন নোবেল। কিন্তু সেই খ্যাতি বেশিদিন ধরে রাখতে পারলেন না শিল্পী। নোবেলকে নিয়ে উন্মাদনাই নেই আর বাংলাদেশের মানুষের। তিনি কী গান গাইছেন, তা নিয়ে ভাবছেনই না অনুরাগীরা। যার প্রমাণ মিলছে ইউটিউবে চোখ রাখলেই। এবারের ইদে সংগীতশিল্পী ও সুরকার শওকাতের আয়োজনে গেয়েছেন মইনুল আহসান নোবেল। ‘অপর প্রান্তে’ নামের গানটি লিখেছেন কবির বকুল। ৮ জুলাই গানটি ইউটিউবে মুক্তি পেলেও ১২ জুলাই সন্ধে পর্যন্ত গানটি দেখেছেন মাত্র ৩১ হাজারের কিছু বেশি। অথচ নোবেল মানেই ছিল মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ। নোবেলের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গান ‘অভিনয়’। ইউটিউবে যার ভিউ ২ কোটি ২০ লক্ষ। এরপর মেহেরবান গানটি মুক্তি পায়। সেটিও লক্ষের বেশিবার মানুষ দেখেছেন।
[আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের পথেই খড়গপুর আইআইটির আরও এক ছাত্র, বাংলায় AAP-এর প্রচার শুরু সুধীর সিংয়ের]
প্রশ্ন হচ্ছে, তবে এবার কেন এমন? নোবেলের দিক থেকে কি তবে মানুষ কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? এ নিয়ে রয়েছে নানা অভিমত। কারও মতে, অহংকার আর বিশিষ্টদের সম্পর্কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যই তাঁকে পতনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কেউ আবার নোবেলের ব্যক্তিগত জীবনের কাটাছেড়ার কারণেই তাঁকে অপছন্দের তালিকায় জুড়ে ফেলেছেন। এ বিষয়ে নোবেলের করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কণ্ঠশিল্পী কিশোর পলাশ বলেন, হঠাৎ করে পাওয়া জনপ্রিয়তার ধাক্কা সামলাতে পারেননি নোবেল। কিশোর পলাশের কথায়, “আসলে নোবেল অধিকমাত্রায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি অল্প সময়ে যতটা পেয়েছেন বলতে গেলে সেটার লোড সামলাতে পারেননি। সেই কারণেই এই পরিণতি।”