সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগোছালো ছন্দে এগিয়ে গিয়েছে নদী। চারপাশ থেকে তাকে আগলে রেখেছে পাহাড়। শান্ত প্রকৃতি যেন সবুজ চাদরের আবরণে নিজেকে ঢেকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছে। এই হচ্ছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) দোবান উপত্যকা (Doban Valley)। অনেকে আবার দোভানও বলে থাকে।
নেপালি ভাষায় ‘দো’ মানে দুই। আর ‘বান’ শব্দের অর্থ বন্ধন। রংপো এবং ঋষি নদীর ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই উপত্যকা। কালিম্পং সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত হলেও পূর্ব সিকিম হয়েই এখানে যেতে হয়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্তির আশ্রয়ে যাঁরা থাকতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ এই অফবিট ডেস্টিনেশন।
কী দেখবেন?
- দেখার চেয়েও বেশি অনুভব করবেন। নিস্তব্ধতার শান্তি। কান পাতলেই শুনতে পাবেন অজানা কোনও পাখির ডাক। যেন আপনাকেই বড় ভালবেসে কাছে ডাকছে।
- পায়ের জুতোটা খুলে একবার যখন নরম ঘাসের উপর পা রাখবেন, শরীর সম্পূর্ণ শীতল হয়ে যাবে।
- পাশ দিয়ে আবার পাথরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো জল। চাইলে তাতেই পা ডুবিয়ে নিতে পারেন। নিজেকেই দেখতে পাবেন প্রকৃতির এই আয়নায়।
- দিন গড়িয়ে রাত নামলেই মাথার উপরে শোভা পাবে চাঁদ। জ্যোৎস্নায় মেখে আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে পাহাড়ের এই নিস্তব্ধতা। জোনাকির মতো শোভা পায় তারাগুলি।
[আরও পড়ুন: ভোটের উৎসবে বেরঙিন দোল, ব্যাপক ক্ষতির মুখে দিঘার হোটেল মালিকরা]
কীভাবে যাবেন?
একাকিত্বের এই সাম্রাজ্যে পৌঁছতে গেলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যেতে হবে। তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতে পারে তাতে। গাড়ি বুক করে নিতে পারেন কিংবা শেয়ারেও যেতে পারেন। রংপোতে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে সার্ভিস জিপে রেনক যাওয়ার পথে রোরাথাং ব্রিজে নেমে পড়তে হবে। তারপর প্রায় ২ কিলোমিটার নদীর চর ধরে হাঁটতে হবে। একটি কাঠের সাঁকো পেরিয়ে দোবানে পৌঁছতে পারবেন। হাঁটতে না চাইলে রংপো থেকেও সরাসরি গাড়ি বুক করেও যাওয়া যায় নদীর কোলে।
কোথায় থাকবেন?
উপত্যকার ঠিক মাঝে অনেকটা জায়গা জুড়ে কিছু কটেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আগে থেকে বুক করে যাওয়াই ভাল। তাতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।