সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যালিস্টিক মিসাইল নয়, গোটা বিশ্বের কাছে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে আরও উচ্চপ্রযুক্তিম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। আর এবার স্বয়ং শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) উপস্থিতিতেই মিসাইল উৎক্ষেপণ হয়ে গেল সফলভাবে। তবে উত্তর কোরিয়ার এই হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশের বুকে কিছুটা কাঁপন ধরিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার কারণও আছে। আর সেটাই সম্ভবত লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়কের।
দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং থেকে হাইপারসনিক মিসাইলটি (Hypersonic Missile) উৎক্ষেপণের আগে সর্বশেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কিম নিজে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই সমরাধিকারিক। তাঁরাই দেশনেতাকে সমস্ত বুঝিয়ে দেন। এই মিসাইল যে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ঠিক কত বড় অস্ত্র, সে সম্পর্কে বিশদে জানানো হয় কিমকে।
এ নিয়ে তৃতীয়বার হাইপারসনিক মিসাইল সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হল উত্তর কোরিয়া। জানা গিয়েছে, এই হাইপারসনিক মিসাইলটি ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ব্যালিস্টিক মিসাইলের ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি।বলা হচ্ছে, কিমের উপস্থিতিতে এই মিসাইল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে একটা বার্তা দেওয়া যে, উত্তর কোরিয়া প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলেছে।
[আরও পড়ুন: স্বস্তির সংকেত! আমেরিকা, ব্রিটেনে এবার শক্তি হারাবে ওমিক্রন, দাবি বিশেষজ্ঞদের]
প্রতিবেশী দেশের এই পদক্ষেপকে প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে দেশের সেনাবাহিনী জানায়, আগের সবকটি ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং থেকে উৎক্ষেপণ করা মিসাইলটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক। যা তাদের উন্নতিকেই চিহ্নিত করে। কিন্তু এই মিসাইল কেন এতটা ভয় ধরাচ্ছে বাকিদের? তার যথেষ্ট কারণ আছে।
[আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে মোতায়েন রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে, ঘোষণা প্রেসিডেন্ট টোকায়েভের]
হাইপারসনিক মিসাইলের অস্তিত্ব ধরতে পারে না রাডার (Radar)। ফলে রাডারের
নজরদারিতে কিছুতেই এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না।
এছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের চলন অন্যান্য মিসাইলের মতো উপবৃত্তাকার নয়, বরং সরলরেখায় চলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে হাইপারসনিক মিসাইল। এছাড়া এর গতিও অনেক বেশি। সর্বোপরি কোনও দেশের হাতে এ ধরনের মিসাইল থাকার অর্থ নিউক্লিয়ার অস্ত্র থাকার মতো, যুদ্ধে পরোক্ষ উসকানি। তাই এই উপমহাদেশে উত্তর কোরিয়ার হাতে হাইপারসনিক মিসাইল অন্যদের মনে ভীতি সঞ্চার করবেই।