সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরীয় উপত্যকায় চরমে উত্তেজনা। ছোট্ট একটি স্ফুলিঙ্গ ঘটাতে পারে যুদ্ধের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার একের পর এক গোলা ছুঁড়তে দেখা গেল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
রয়র্টাস সূত্রে খবর, দেশের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে অন্তত ১৩০ রাউন্ড কামানের গোলা ছোঁড়ে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের সেনাবাহিনী। কয়েকটি গোলা আবার দুই কোরিয়ার মধ্যে তৈরি ‘বাফার জোনে’ আছড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ দক্ষিণ কোরিয়ার। কিমের সেনা ২০১৮ সালের সংঘাত বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, এদিন কামানের গোলা ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে পড়শি দেশকে সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা কমাতে ২০১৮ সালে কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন। তখনই দুই দেশের মধ্যে ‘Comprehensive Military Agreement’ সাক্ষরিত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘খুন করা হতে পারে’, আশঙ্কা ইলন মাস্কের]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কিমের দেশ যা শুরু করেছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশগুলির জনসাধারণের মধ্যেও। সিওল জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কিমের (Kim Jong Un) সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। মিসাইল উৎক্ষেপণের পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করার নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দেশটির বিমান, জাহাজ ও অন্যান্যও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। সেখানে উত্তর কোরিয়ার সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার বিষয়টি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে নাকি বাইডেন বেজিংকে চাপ দিয়েছেন, কিমের দেশের এই বারংবার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া আটকাতে তারা তাদের প্রভাব খাটাক। কেবল চিনই নয়, গত রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সঙ্গেও বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে বাইডেনকে। হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ‘বেআইনি গণঘাতক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা’ রুখতে আলোচনা হয়েছিল বৈঠকে।