সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে জাপানের (Japan) কাছে সমুদ্রে আছড়ে পড়ল দু’টি ব্যালিস্টিক মিসাইল। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উৎক্ষেপণ করা হয় বলে খবর।
[আরও পড়ুন: সত্যি হবে আমেরিকার আশঙ্কা! তাইওয়ানের অকাশসীমায় প্রবেশ চিনা যুদ্ধবিমানের]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে টোকিও প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের হামগিয়ং প্রদেশ থেকে জাপান সাগরে মিসাইলগুলি ছোঁড়ে কিমের সেনা। উদ্বেগ উসকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি জাপানের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনোমিক জোন’-এর কাছে আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগা বলেন, মার্কিন মসনদে জো বাইডেন বসার পর এই প্রথম এতটা আগ্রাসী হয়ে মিসাইল ছুঁড়ল কিমের ফৌজ। প্রায় এক বছর আগে শেষবার উত্তর কোরিয়া মিসাইল পরীক্ষা চালায়। তারা আমাদের দেশ ও গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা বিপন্ন করে তুলছে। এটা রাষ্ট্রসংঘের নিয়মের পরিপন্থী।” বলে রাখা ভাল, ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। যদিও সেই প্রস্তাব যে দেশটির একনায়ক কিম জং উন আদৌ মানছেন না, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সম্প্রতি উপগ্রহের তোলা বিভিন্ন ছবি থেকে তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।কয়েক সপ্তাহ আগেই কিম জং উন (Kim Jong Un) হুমকি দিয়েছিলেন পারমাণবিক শক্তিবৃদ্ধির। দেখা যাচ্ছে, সেই আশঙ্কা সত্যি করে আরও বেশি করে প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশন করে ফের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার দিকে ঝুঁকছে কিমের দেশ। আণবিক ক্ষেপণাস্ত্রকে কূটনীতির অমোঘ হাতিয়ার হিসেবে বহুদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছেন কিম। উত্তর কোরিয়া (North Korea) যাতে আর পরমাণু অস্ত্র না বানায়, সেজন্য তাদের অনুরোধ করেছিল আমেরিকা। গতবছর হ্যানয়ে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই বৈঠক ব্যর্থ হয়। আমেরিকা তার পরেও কূটনৈতিক পথে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। চলতি বছরের শুরুতে নয়া মিসাইল প্রদর্শন করে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার মঞ্চে নিজের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছেন কৌশলী কিম বলেই ধারণা।