সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় আড়াই বছর হয়ে গিয়েছে অতিমারীর (Pandemic) কালো মেঘ ছেয়ে রয়েছে বিশ্বের আকাশে। কিন্তু এযাবৎ উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনকে (Kim Jong Un) কেউ মাস্ক পরতে দেখেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা ঘোষণা করার পরই দেখা গেল মাস্ক পরে রয়েছেন কিম। এখনও পর্যন্ত সেদেশে ‘অজানা জ্বরে’ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, দেশে ‘প্রথম করোনা আক্রান্তের’ হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক ব্যক্তির শরীরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণের খবর পেতেই পলিটব্যুরোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন কিম। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। এরই মধ্যে খবর আসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেদেশে প্রাণ হারিয়েছেন একজন। সব মিলিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় নজিরবিহীন রায়, দোষী সাব্যস্ত হলেও শাস্তি পেলেন না কুণাল ঘোষ]
বিশ্লেষকদের মতে, মুখে যা খুশি দাবি করলেও উত্তর কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেশটির প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের একজনকে টিকা দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার টিকাকরণের দাবি জানালেও সেই আরজিতে আমল দেননি কিম। এমনকী, বন্ধু চিন ও রাশিয়া টিকা জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তাও ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে দেশটিতে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। এবং গত ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে কিমের প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে কড়া লকডাউনের ডাক দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গোটা বিশ্বে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকার সময় দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় কিম সরকার। কিন্তু তবুও সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি বলে দাবি। আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক গবেষক গো মিয়ং হিউন জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চিন থেকে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এই কারণে সিওলের উপর ক্ষুব্ধ কিম ভয়াবহ বদলার কথা ভাবছেন।