সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী ফলের জেরে লোকসভায় শক্তি কমেছে বিজেপির। একক সংখ্য়াগরিষ্ঠতা মেলেনি। এবার রাজ্যসভাতেও শক্তি কমল বিজেপির। দলের ৪ সাংসদ রাকেশ সিনহা, রাম সাকাল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানি অবসর নিয়েছেন শনিবার। এর ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে হল ৮৬ এবং এনডিএ জোটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০১ জন।
দু-বছর আগে বিজেপি একাই সেঞ্চরি করেছিল রাজ্যসভায়। দলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১০২। লোকসভা হোক কিংবা রাজ্যসভা গেরুয়া শিবিরের 'আচ্ছে দিন' অতীত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই অবস্থায় নবীন বন্ধুর সন্ধানে পদ্ম শিবির। কারণ ওড়িশায় পালাবদলে বিজেপির সঙ্গে ছেড়েছেন বিজু জনতা দলের সভাপতি নবীন পট্টনায়েক। শোনা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশেও একই হাল। সেখানেও ক্ষমতা বদলের হওয়ায় একমাত্র শর্তসাপেক্ষেই সমর্থনে রাজি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সুপ্রিমো জগনমোহন রেড্ডি। যদিও জগনের দলের রাজ্যসভায় ১১জন সদস্য রয়েছে। তাঁরা সমর্থন করলে চিন্তা থাকে না। কিন্তু সেগুড়ে বালি অনুভব করছেন গেরুয়া নেতারা। সব মিলিয়ে নতুন বন্ধু না বিল পাশ করা কঠিন হবে মোদি-অমিত শাহদের।
[আরও পড়ুন: ‘ইচ্ছাকৃত ওজন কমাচ্ছেন কেজরি’, আপের আশঙ্কার পালটা জবাব তিহাড় কর্তৃপক্ষের]
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় মোট আসন ২৪৫। আপাতত ১১টি শূন্য। গত শনিবার রাজ্যসভায় বিজেপির চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন আসন সংখ্যা কমে ২২৬ হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে দরকার ১১৩ সাংসদের সমর্থন। যদিও বিজেপি-সহ এনডিএ-র হাতে রয়েছে ১০১ জন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক দলগুলির মোট সদস্য ৮৭। এনডিএ এবং ইন্ডিয়া কোনও ব্লকেই নেই, এমন সাংসদের সংখ্যা ২৯।