shono
Advertisement

Breaking News

এবার ১০ বছরের নিচের শিশুরাও ঢুকতে পারবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়, সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

কঠোরভাবে প্রত্যেককে মানতে হবে কোভিড বিধি।
Posted: 09:25 AM Nov 11, 2020Updated: 09:26 AM Nov 11, 2020

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: “বাচ্চাদেরই যদি ঢোকা নিষেধ হয়, তবে আর চিড়িয়াখানা খুলে রাখা কেন? ফটক বন্ধ করে দিলেই হয়!” কথা পাড়া, কথা কাটাকাটি এবং বিতর্কের শেষে আবেদন-নিবেদন, নিয়ম-বিধিতেও কাজ না হওয়ায় নিত্য ঝঞ্ঝাট থেকে নিস্তার পেতে শেষ পর্যন্ত বাচ্চাদের নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে দর্শকদের ছাড়পত্রই দিয়ে দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ (Alipore Zoological Garden)।

Advertisement

পুজোর (DurgaPuja2020) মাসের শুরুতেই খুলেছিল চিড়িয়াখানা। দিন গড়াতে গড়াতে দর্শকও বেশ ভালই হচ্ছিল। তখনই একাধিকবার অনুরোধ-উপরোধ এসেছে। কোভিড বিধি মেনে দশ বছরের নিচে কোনও বাচ্চার ঢোকার অনুমতি ছিল না। ফিরিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোলের শিশু হলে বাবা-মাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সব সময় যে তা সম্ভব হয়েছে, তেমনটাও নয়। পুজোর মধ্যে ক’দিন বন্ধ রেখে আবার চিড়িয়াখানা খুলতেই সেই এক চিত্র। বরং এবার আরও বেশি। অনুরোধ থেকে এবার দাবি, কখনও চোখরাঙানি। অনেকক্ষেত্রে কিছুক্ষণ গজগজ করে শেষ পর্যন্ত ফিরে গিয়েছেন অভিভাবকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সম্প্রতি একেবারে মাত্রাছাড়া চেঁচামেচি।

[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সামান্য কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, সুস্থতার হার ৯০ শতাংশের বেশি]

কী ব্যাপার? কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এক বাচ্চার মা, তাঁর সঙ্গে আরও লোকজন ছিলেন। সকলেই আত্মীয়-পরিজন। নিজেদের বাচ্চাদেরও সঙ্গে এনেছেন। বারবার বলা সত্ত্বেও কথা শোনেন না। নাছোড়। ভিতরে যেতে তাঁদের দিতেই হবে। তাঁদের ঝঞ্ঝাট সামলাতে গিয়ে বাকি দর্শকরাও আটকে পড়েছিলেন গেটের বাইরে। এভাবে ভিড় বেড়ে গেলে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠত। উলটো ফল হত। তার থেকে সকলকেই ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হল। তবে প্রত্যেককে চিড়িয়াখানার ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। চিড়িয়াখানা খোলা ইস্তক গেল রবিবারই সব থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল। ২৭০০ দর্শকের সমাগম হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সব পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢোকার মুখে সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং করে স্যানিটাইজার হাতে মেখে ঢুকতে হয়েছে দর্শকদের। এনক্লোজারের ধারে কাউকে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। কোথাও জটলা করতে দেওয়া হয়নি কোনও দর্শককে।

চিড়িয়াখানায় যেতে পারছেন না, এমন অনেক দর্শক আছেন। তাঁদের কথা ভেবেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক সময় লাইভ শো শুরু করেছিল। কিন্তু চিড়িয়াখানা পুরোদমে চালু হয়ে যাওয়ার পর সেসব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু দর্শকদের আবেদন মেনে আবার লাইভ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানাচ্ছেন, “মানুষ চিড়িয়াখানা নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। তাঁরা পশুপাখিদের দেখতে চান। জানতে চান অনেক কিছু। তাঁদের কথা রাখতেই আবার লাইভ হচ্ছে।” এই পর্বেই বেশ কিছু প্রাণী একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সদ্য জন্ম হয়েছে এক ফিশিং ক্যাটের ছানার।

[আরও পড়ুন: করোনা কালে ভিড় এড়িয়ে কীভাবে হবে ছটপুজো? গাইডলাইন দিল কলকাতা হাই কোর্ট

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement