সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ‘অশনি’তে (Asani) রক্ষে নেই, দোসর ‘করিম’ (Karim)। ভারতকে টার্গেট করে ইতিমধ্যেই গুটি গুটি পায়ে হাজির এই নয়া বিপদ। আপাতত দাঁড়িয়ে আছে দক্ষিণেই। ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) উত্তর এবং দক্ষিণে ওই জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের (Twin Cyclone) ছবি নাসার (Nasa) উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে গত রবিবার। নাসার দাবি, ‘করিম’, ‘অশনি’-র থেকেও শক্তিশালী। এটি দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ঝড়। এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার। এই মুহূর্তে এটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। বলতে গেলে, নিরক্ষরেখার দক্ষিণে আপাতত অবস্থান করছে এটি।
প্রসঙ্গত, দেশের পূর্ব উপকূলীবর্তী রাজ্যগুলিতে ‘অশনি’-র প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি চলছে। আর ঠিক তখনই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাসূত্রে জানা গেল, আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের ভারতের দিকে ধেয়ে আসার কথা। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জোড়া ঘূর্ণিঝ়ডের তাণ্ডবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে নতুন করে আশঙ্কা। নাসার ছবি থেকে আপাতত যা মালুম হয়েছে তা হল–‘করিম’ শক্তিশালী হলেও এর হাওয়ার ঘূর্ণন উলটোদিকে। তার উপর আবার, এখনও এটা স্পষ্ট নয়, এটি ভারত মহাসাগর থেকে ‘অশনি’র অনুবর্তী হয়ে বঙ্গোপসাগরে বা ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে কি না! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি স্থলভাগে প্রবেশ করে ‘করিম’, তাহলেও যে এই ঝড় থেকে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে–তাও এখনই বলা যাচ্ছে না। ‘করিম’ এর সাম্প্রতিকতম অবস্থান, কোকোজ আইল্যান্ড। সেখানকার বাসিন্দার সংখ্যা মাত্র ৬০০ জন। ওই দ্বীপে যদি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়েও পড়ে, তাহলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু যদি শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসে, তাহলে ছবিটা অন্যরকমও হতে পারে।
[আরও পড়ুন: এবার আপনার সব অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালাবে সরকার! বড় বদল এল ব্যাংকের লেনদেনের নিয়মে]
কিন্তু সত্যিই কি একসঙ্গে মিলে গিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে ‘অশনি’ এবং ‘করিম’? দ্য ওয়েদার চ্যানেলের দাবি, “এই ধরনের জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের কাছাকাছি অবস্থান বিরল নয়। আগেও ঘটেছে। সাধারণত এরা একই দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করে, কিন্তু দিক আলাদা হয়। এক্ষেত্রে দু’টি ঝড় বিপরীত দিকে রয়েছে। একটি রয়েছে নিরক্ষরেখার উত্তরে, অপরটি দক্ষিণে।”
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৮২৭ জন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার নিয়ম বদলাল কেন্দ্র]
বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, সাধারণত দু’টি ঝড়ের অবস্থানগত দূরত্ব ১০০০ কিমির মধ্যে থাকলে তারা একত্রে ধেয়ে আসতে পারে। কিন্তু অশনি আর করিমের মধ্যে দূরত্ব ২৮০০ কিমিরও বেশি। তাই সম্ভাবনা কম।” প্রসঙ্গত, নাসার ‘ভিজিবল ইনফ্রারেড ইমেজিং রেডিয়োমিটার স্যুটস’ যে ছবি তুলেছে, তাতে ফুটে উঠেছে জোড়া ঝড়ের ছবিই। অর্থাৎ ‘অশনি’ এবং ‘করিম’। মহাকাশ থেকে তোলা এই জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরাও। পরবর্তীতে প্রভাব যাই হোক না কেন, আপাতত ওই ভয়ংকর-সুন্দর ছবিতে মুগ্ধ ভক্তকূল।