সুব্রত বিশ্বাস: এবার প্রতিবন্ধী যাত্রীদের (Passengers Disabilities) পকেটেও চাপ বাড়াল রেল (Indian Railways)। এতকাল বিশেষভাবে সক্ষম এই ধরনের যাত্রীরা স্টেশনে এসে ট্রেনে চড়া বা নেমে যাওয়ার জন্য এই পরিষেবা পেতেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এবার আধ ঘণ্টার জন্য দিব্যাঙ্গদের হুইলচেয়ার (Wheel Chair) নিতে ভাড়া গুনতে হবে পঞ্চাশ টাকা। আগামী সপ্তাহ থেকে হাওড়া স্টেশনে এই পরিষেবা চালু হলেও শিয়ালদহ স্টেশনে ক’দিন পরে এই পরিষেবা পাবেন প্রতিবন্ধী যাত্রীরা।
এছাড়াও সাধারণ ঠেলা হুইলচেয়ার বিদায় নিয়ে আসছে মোটর চালিত হুইলচেয়ার। একই আকারের এই হুইল চেয়ারের বৈশিষ্ট্য, এটি হবে বাটারি চালিত। হুইল চেয়ারটি চালিয়ে নিয়ে যাবেন যে বেসরকারি সংস্থাকে ঠিকা দেওয়া হয়েছে তাদেরই কর্মী। হাওড়ার ডিআরএম (DRM) মণীশ জৈন জানিয়েছেন, এখন প্রতিবন্ধী যাত্রীর নিজের লোকজন স্টেশন মাস্টারের কাছে আবেদন করে বিনা পয়সায় এই হুইলচেয়ার পেয়ে যান। এই চেয়ার ঠেলে নিয়ে যান দিব্যাঙ্গের স্বজনরাই। যাঁরা পারেন না তাঁরা কুলি দিয়েই এই হুইল চেয়ার নিয়ে যান। তবে এবার ঠিকা সংস্থা সম্পূর্ণ ই-হুইলচেয়ার পরিষেবা চালু করছে। এজন্য নির্দিষ্ট অ্যাপও চালু হচ্ছে। সেই অ্যাপে গিয়ে এই মোটরচালিত হুইলচেয়ার বুকিং করতে পারবেন। বুকিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই মিলে যাবে ব্যাটারির হুইলচেয়ার। প্রতি আধ ঘণ্টায় দিতে হবে পঞ্চাশ টাকা ভাড়া। হুইলচেয়ার ঠেলে নিয়ে যাবেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: প্রথমে গৃহকর্তা, তারপর প্রতিবেশীরা, ভাঙড়ে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা পরিচারিকা]
নতুন পরিষেবা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন দিব্যাঙ্গ যাত্রী ও পরিবারের লোকজন। শনিবার ইন্টারসিটির প্রতিবন্ধী যাত্রী সুধীর দাশ বলেন, এমনিতেই এই ধরনের যাত্রীরা উপার্জনে যথেষ্ট উপযুক্ত নন, তাই সরকার নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকেন। এবার যাতায়াতে দু’-দু’বার করে দু’টি স্টেশনে দু’শো টাকা দেওয়াটা বিশেষ চাপের হয়ে দাঁড়াবে। বলেন, টিকিটেই ৭৬ শতাংশ ছাড় থাকে প্রতিবন্ধী যাত্রী ও তার সহযোগী যাত্রীর। রাজধানী এক্সপ্রেস ও এসি টু’টিয়ারে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয় রেল। তখন হুইলচেয়ার ব্যবহারে আধ ঘণ্টায় ৫০ টাকা খুব সঠিক পদক্ষেপ নয়।
[আরও পড়ুন: GTA নির্বাচনে ভোটই দিলেন না গুরুং, নেপথ্যে কি গভীর পরিকল্পনা?]
হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম সুজিতকুমার সিনহা বলেন, এখন অনেক দিব্যাঙ্গ যাত্রী কুলি দিয়ে হুইল চেয়ার ঠেলান। কুলিকে চার্জ দিতে হয়। বাৎসরিক পঞ্চাশ হাজার টাকার চুক্তিতে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়া নিউ ও ওল্ড কমপ্লেক্সে আগামী সপ্তাহ থেকে পরিষেবা মিলবে। ছ’টি এমন হুইল চেয়ার এসে গিয়েছে হাওড়ায়।