সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই ঘটনা। বিয়ে করাই পেশা জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বাসিন্দা বছর ত্রিশের তরুণীর। সম্প্রতি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ততদিনে ১২ জন যুবক এবং তাঁদের পরিবারকে বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন তিনি। বিয়ের মাস কয়েক পরেই মোটা টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিতেন তিনি, অভিযোগ এমনটাই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজৌরি জেলার নৌসেরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাহিন আখতার নামের বছর ত্রিশের ওই তরুণীকে। মহম্মদ আলতাফ মার নামের এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তরুণীকে। শাহিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন আলতাফ। এর পরেই একাধিক ব্যক্তি শাহিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তোলেন।
[আরও পড়ুন: আকাশপথে যাত্রীর মোবাইলে বিস্ফোরণ! জরুরি অবতরণ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের]
পুলিশ জানিয়েছে, আলতাফের বাড়ি উপত্যকার বুদগামে। ঘটকের মাধ্যমে শাহিনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বিয়ের পর মাস চারেক সংসার করেন তাঁরা। একদিন সকালে উঠে দেখেন স্ত্রী গায়েব। সেই সঙ্গে গায়েব হয়েছে টাকা এবং সোনার গয়না। গত ৫ জুলাই শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আলতাফ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করে পুলিশ। এর পর ১৪ জুলাই শাহিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সেদিনই আদালত চত্বরে জরো হয় একদল যুবক। সকলেরই দাবি, একই ভাবে তাঁদেরকেও প্রতারণা করেছেন তরুণী। এখনও পর্যন্ত আলতাফ-সহ ১২ জন এই অভিযোগ এনেছেন। সংখ্যাটা বাড়তে পরে বলে জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দুধসাগর দর্শনের উত্তেজনায় আইনভঙ্গ, পর্যটকদের কান ধরে ওঠবোস করাল পুলিশ!]
উল্লেখ্য, মুসলিম বিবাহের একটি রীতি হল ‘মেহর’ দান। বিয়ের সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কনেকে উপহার দেয় বর। শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রত্যেক বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই ‘মেহর’-এর মোটা টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।