সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় পা রেখেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উঠেছিল গো-ব্যাক স্লোগানও। ত্রিপুরার এমন ‘আতিথেয়তা’কে একহাত নিয়েছিলেন অভিষেক। এমনকী বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও তোলা হয়েছিল। এবার সরাসরি ‘নজরদারি’ চালানোর অভিযোগ তুললেন কুণাল ঘোষ। জানিয়ে দিলেন, তিনি যে ক’দিন ত্রিপুরায় ছিলেন, তাঁর উপর আলাদা করে নজর রাখা হয়েছে।
শনিবার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর গাড়ির পিছনে আসছে একাধিক বাইক। সেই দৃশ্যই উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ লেখেন, “ত্রিপুরায় যতক্ষণ ছিলাম, যেখানেই যাই, একটু দূরত্ব রেখে অনুসরণ করে গেল বাইকবাহিনী। ওখানে গ্রামে তাণ্ডবের কথা শুনেছি। শহরেও নজরদারি। পিছনে থাকছে। ফোনে জানাচ্ছে কাউকে।” এরপরই ত্রিপুরা সরকারকে কটাক্ষ, “আমার পেছনে এত সময় দেওয়ার জন্য ছেলেগুলির কত কষ্ট হল। আহা রে! ধন্যবাদ বিজেপি। আবার যাব।”
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া ‘বেলাগাম ঘোড়া’, BJP আইটি সেলকে রাশ টানার নির্দেশ দিলেন Yogi Adityanath]
তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা (Tripura)। ঢেলে সাজছে সংগঠন। ভোটে লড়াইয়ের আগে সে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে আঞ্চলিক দলের জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই জল্পনা আরও উসকে গিয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মনের (Padyut Manikya Debbarma) সঙ্গে বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। প্রদ্যোৎ শুধুমাত্র মহারাজা নন, জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অন্যতম প্রধান মুখও বটে। ফলে এই সাক্ষাৎ ঘিরে বাড়ে জল্পনা। তার আগে আগরতলায় প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ ও বিধায়ক, অধুনা পিডিএস রাজ্য সম্পাদক, শিক্ষক ও সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা অজয় বিশ্বাসের বাড়িতেও যান কুণাল। যদিও দু’ক্ষেত্রেই তিনি জানিয়েছিলেন, উভয় সাক্ষাৎই একেবারে সৌজন্যের।
এবার ফেরার সময় কুণাল জানিয়ে দিলেন ত্রিপুরায় তাঁর উপর নজরদারি চলেছে। যদিও এ নিয়ে এখনও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।