সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২ জুন ওড়িশার বাহানাগা বাজার স্টেশনের (Bahanaga Bazar Station) কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১২০০-র বেশি। রেলের গাফিলতি না অন্তর্ঘাত? তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। তদন্তক্ষেত্র বাহানাগা বাজার স্টেশন। এই অবস্থায় আপাতত ওই স্টেশনে কোনও ট্রেন দাঁড়াবে না। তদন্ত সম্পূর্ণ হল স্বাভাবিক হবে পরিষেবা। এর ফলে অসুবিধায় পড়বেন ওই স্টেশনে ওঠানামা করা যাত্রীরা। যাত্রী ভোগান্তি কতদিন চলবে তা স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় রেলের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার পর দিন ৩ জুন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত করবেন রেলের সুরক্ষা কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল) এএম চৌধুরী। যদিও ৪ জুন সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব করে রেল। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই আধিকারিকরা কথা বলেছেন বাহানাগা বাজার স্টেশনের একাধিক কর্মীর সঙ্গে। যে ‘প্যানেল বোর্ড’ এবং ‘রিলে রুম’ নিয়ে কথা উঠছে, তা ঘুরে দেখছেন ঘটনাস্থল। এই বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, “সিবিআই লগবুক বাজেয়াপ্ত করার পর স্টেশনটি সিল করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ট্রেন স্টেশনে থামবে না।”
উল্লেখ্য, বাহানাগা বাজার স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ১৭০টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। এর মধ্যে মাত্র ৭টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন এক মিনিটের জন্য এই প্লাটফর্মে দাঁড়ায়। এলাকার দশটি গ্রামের শ্রমিক শ্রেণির মানুষ ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে চেপেই আশপাশের একাধিক স্টেশনের কর্মস্থলে যান। স্টেশনে না থামার কারণে তাঁরা অসুবিধায় পড়বেন। যাতায়াত করতে হবে বিকল্প উপায়ে।