সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারী নির্যাতনের পৈশাচিক রূপ দেখছে পাকিস্তান (Pakistan), বলছেন সে দেশের সমাজকর্মীরা। সেখানে কবর থেকে মহিলাদের দেহ তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সন্তানদের মৃতদেহকে ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচাতে লোহার খাঁচা দিয়ে কবর ঘিরে দিচ্ছেন উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা। সম্প্রতি একের পর এক এমন ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে প্রশাসন।
একটি পরিসংখ্যানের দাবি, পাকিস্তানে প্রতি দুই ঘন্টায় একজন নারী ধর্ষিতা হন। তবে কবর থেকে দেহ তুলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই পরিসংখ্যানকেও সাধারণ মনে হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, এক দশক হল এই ধরনের ঘটনা শুরু হয়েছে। যদিও তা প্রকাশ্যে এসেছে চলতি বছরে। সম্প্রতি মহম্মদ রিজওয়ান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি করাচির এক কবরস্থলের নিরাপত্তরক্ষী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কবর থেকে মহিলা, কিশোরী, তরুণীদের দেহ তুলে ধর্ষণ করতেন। ধরা পড়ার পর পুলিশি জেরায় রিজিওয়ান স্বীকার করেন, মোট ৪৮ জন মহিলার দেহ তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশ আঁতকে ওঠে।
[আরও পড়ুন: ৫০ হাজার হিরের তৈরি মহার্ঘ আংটি, বিশ্বরেকর্ড মুম্বইয়ের গয়না সংস্থার, দাম কত?]
এছাড়াও গত বছরের মে মাসে এক কিশোরীকে কবর থেকে তুলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানের গুজরাটে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২১ সালে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল আরও একটি। এই পরস্থিতিতে মেয়ে বা মহিলাদের কবর দিয়েও শান্তি পাচ্ছেন না পরিবারের লোকেরা। বাধ্য হয়ে লোহার খাঁচা দিয়ে কবর ঘিরে দিচ্ছেন তাঁরা, যাতে করে পৈশাচিক ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা মেলে।
[আরও পড়ুন: মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বিরোধী প্রার্থীকে ঘুষ, বিতর্কে BJP নেতা, সতর্ক নির্বাচন কমিশন]
এদিকে কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল টুইটার, ফেসবুকের মতো সমাজমাধ্যমগুলি। পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী হ্যারিস সুলতান। তিনি টুইট করেন, “পাকিস্তান এমন এক যৌনহতাশ সমাজ যে মেয়েদের কবরে তালা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বাবা-মায়েরা।” সীমান্ত পারের নেটিজেনদের দাবি, অবদমনের কারণেই পাকিস্তানের এই অবস্থা।যৌন রক্ষণশীলতার বিকৃত রূপ সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল ‘পাকিস্তানে কবর থেকে মহিলাদের দেহ তুলে ধর্ষণে’র এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল। যার সঙ্গের ছবিটি ভুল ছিল। সেটি আদতে হায়দরাবাদের একটি কবরস্থানের ছবি। এই ভুলের জন্য সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন গভীরভাবে দুঃখিত। ছবিটি বদলে দেওয়া হল।