shono
Advertisement

জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ানো নিয়ে কী মন্তব্য সানি লিওনের?

নিজের সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে এই নিয়ে মুখ খুললেন 'বেবি ডল'... The post জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ানো নিয়ে কী মন্তব্য সানি লিওনের? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:19 PM Oct 26, 2017Updated: 03:32 PM Sep 26, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কন্ডোমের বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে শুরু করে বলিউডি সিনেমার আইটেম গার্ল – প্রাক্তন পর্নস্টার সানি লিওন বিলক্ষণ জানেন, কী করে সংবাদের শিরোনামে থাকতে হয়। কিন্তু শিরোনামে থাকতে গিয়ে মাঝেমধ্যে যে বেফাঁস কথাও বলে ফেলেন সানি। কিন্তু কী আর করা যাবে! লাস্যময়ীর আবেদনের কাছে সেই সব ছোটখাটো ভুলত্রুটি ভক্তরা নিজগুণেই ক্ষমা করে দেন। সম্প্রতি তো আবার কী করে টাকাপয়সা সঞ্চয় করতে হবে, সেই বিষয় নিয়েও মুখ খুলেছিলেন সানি।

Advertisement

[তাজমহল কি ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হবে, প্রশ্ন অভিনেতা প্রকাশ রাজের]

এই পর্যন্ত তাও সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু এবার জাতীয় সংগীত নিয়েও মন্তব্য করলেন বেবি ডল। তবে না, এমন কোনও মন্তব্য তিনি করেননি, যাতে জাতীয় সংগীতের অবমানননা হয়। ঠিক কী বলেছেন সানি? কেনই বা জাতীয় সংগীতের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে হল বেবি ডলকে? আসলে নিজের ‘তেরা ইন্তেজার’ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রথমে মুখ খোলেন অভিনেতা ও প্রযোজক আরবাজ খান। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক নির্দেশে জানিয়েছে, সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন বাধ্যতামূলক নয়। এই প্রসঙ্গেই আরবাজ বলেন, ‘জাতীয় সংগীত শুনলে আমি স্বেচ্ছায় উঠে দাঁড়াই। মনে মনে আমি এভাবেই তৈরি হয়েছি।’

ওই কথার রেশ টেনেই সানি লিওন বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশপ্রেম এমন এক আবেগ, যা মানুষের ভিতর থেকে আসে। হৃদয় থেকে আসে। আমার মনে হয়, আদালত যাই বলুক না কেন, আমাদের উচিত জাতীয় সংগীতের সময় উঠে দাঁড়ানো।’ সানি লিওনের সঙ্গে একমত দক্ষিণ ভারতের আর এক জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসানও। তাঁর দাবি, সিঙ্গাপুরে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সেই মডেল ভারতেও চালু করা যেতে পারে। কিন্তু যত্রতত্র জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কারও দেশপ্রেম পরীক্ষার কোনও মানে হয় না। এরকম জোর করাও উচিত নয়। সিনেমাহলে জাতীয় সংগীত বাজানো নিয়ে সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, এই বাধ্যবাধকতার কোনও দরকার নেই। এভাবে দেশপ্রেম প্রমাণ করার কোনও মানে হয় না। গত সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, জাতীয় সংগীত বাজার সময় উঠে দাঁড়াতে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তিকে কেউ জোর খাটাতে পারবেন না। কারণ কেউ উঠে দাঁড়াতে অনিচ্ছুক মানে এই নয় যে, ওই ব্যক্তি জাতীয়তাবাদ বিরোধী বা দেশবিরোধী। তাই জাতীয় সংগীত চলার সময় উঠে দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক নয়।

[‘নীহারিকাকে নিয়ে সোজা বেডরুমে’, পরকীয়ার কথা ফাঁস নওয়াজের]

তবে এই শিথিলতা শুধুমাত্র প্রেক্ষাগৃহের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ সোমবার বলেছে, “সমাজে কারও ‘নৈতিক পুলিশগিরির’ দরকার নেই। বেঞ্চ বলেছে, এরপর হয়তো দেখব, জাতীয় সংগীত অবমাননা হবে বলে জানিয়ে সরকার প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে আসতেও নিষেধ করবে। বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, লোকে সিনেমা হলে আসে বিশুদ্ধ বিনোদনের জন্য। সমাজে বিনোদন দরকার। আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালাতে দেব না আপনাদের (কেন্দ্র)। প্রত্যাশা এক জিনিস, আর তা বাধ্যতামূলক করা আরেক ব্যাপার। দেশপ্রেম বোধ আস্তিনে বয়ে বেড়াতে বাধ্য করা যায় না।”

দেখুন ভিডিও:

The post জাতীয় সংগীত চলাকালীন উঠে দাঁড়ানো নিয়ে কী মন্তব্য সানি লিওনের? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement