সুব্রত বিশ্বাস: নির্ধারিত স্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রী না চড়লে এবার তাঁর ফাঁকা সিটটি পরের যে কোনও স্টেশন থেকে বুকিং করতে পারবেন অন্য যাত্রী। যাত্রীদের সুবিধার্থে এমনই উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল।
কোনও যাত্রী সিট বুক করার পর ট্রেনে না উঠলে সেই সিটের বুকিং কীভাবে নেওয়া যাবে? জানানো হয়েছে, সিটটির বুকিং নিতে হলে যাত্রীকে ট্রেনে ওঠার পর টিকিট পরীক্ষককে বলে চার্ট পরীক্ষা করে নিতে হয়। পরিষেবার এই বদলের ফলে ট্রেনে চড়ার আগেই স্টেশনের সংরক্ষিত টিকিট (Reserved Tickets) কাউন্টার থেকে জেনে নিতে পারবেন ফাঁকা সিটের অবস্থান সম্পর্কে। কাটতে পারবেন সংরক্ষিত টিকিট। এজন্য ট্রেনের টিকিট পরীক্ষককে (TTE) এবার দেওয়া হবে ‘হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল’। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে টিকিট পরীক্ষকদের এই মেশিন দেওয়া শুরু হলেও আগামী দিনে সব ট্রেনেই এই মেশিনের ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে বলে পূর্ব রেলের বাণিজ্যবিভাগ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে কানাডার মহিলার অ্যাকাউন্ট সাফ! ফুলবাগানে গ্রেপ্তার সাইবার জালিয়াত]
ট্রেনে কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষক এখন চেকিংয়ের পর যাত্রী না আসা ফাঁকা সিটগুলি নির্ধারণ করে মার্ক করে দিলেও তা ট্রেনের যাত্রী ছাড়া আর কেউ জানতে পারেন না। এই মেশিনের সূত্রে এবার ফাঁকা সিটগুলির বিবরণ সমস্ত সংরক্ষণ কাউন্টারে দেখা যাবে। ফলে চাহিদা থাকলে যাত্রীরা পরের স্টেশনগুলি থেকে টিকিট কাটতে পারবেন। পাশাপাশি আরএসি থেকে ওয়েটিংয়ে থাকা, সব বর্ণনা টিকিট পরীক্ষক পেয়ে যাবেন মেশিনের মাধ্যমেই।
হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম সুজিত সিনহা বলেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোনও স্টেশন থেকে সংরক্ষিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও যদি যাত্রী না চড়েন, তা হলে পরের স্টেশনগুলির কাউন্টার থেকে সেই সিটের সংরক্ষিত টিকিট পেয়ে যাবেন যাত্রীরা। এটা যাত্রীদের পক্ষে বিশেষ সুবিধার। সব ট্রেনে চালু হলে বহু যাত্রী ট্রেনে সংরক্ষিত টিকিটে যাত্রা করার সুযোগ পাবেন। এই পরিষেবার মাধ্যমে যাত্রীরা উপকৃত হবেন বলে তাঁদের ধারণা। যাত্রীদের কথায়, এখন এই ধরনের সিট টাকা নিয়ে বহু টিকিট পরীক্ষক ট্রেনে সংরক্ষণ না পাওয়া যাত্রীদের দিয়ে দেন। এই ব্যবস্থা চালু হলে সেই কারবার বন্ধ হবে বলে তাঁদের ধারণা।