সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরের বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করল কনরাড সাংমার দল এনপিপি। গত কয়েকদিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মণিপুরের পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে ৬ জন মেতেইকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে কুকিদের বিরুদ্ধে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারকে দুষেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ বলে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
রবিবার বিকেলে মণিপুরের এক নদী থেকে দুই অপহৃত মেতেইয়ের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। ২ বছরের এক শিশু এবং ঠাকুমার দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তার পরেই জানা যায়, মণিপুরের বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে এনপিপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী জানান, "আমরা মনে করি বিরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মণিপুর সরকার সমস্যা মিটিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফেরাতে ব্যর্থ। তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিরেন সিং সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছে এনপিপি।" উল্লেখ্য, বর্তমানে কনরাড সাংমার দলের সাতজন বিধায়ক রয়েছেন মণিপুরের বিধানসভায়।
অন্যদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পর নিজের নির্বাচনী প্রচারসভা বাতিল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে রবিবার তাঁর চারটি সভা করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার থেকে মণিপুর আরও অশান্ত হওয়ার খবর পেয়েই বিদর্ভের সভাগুলো বাতিল করে দিয়েছেন শাহ। নাগপুর থেকেই তিনি ফিরে গিয়েছেন দিল্লিতে। তার পরেই মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ডেকেছেন জরুরি বৈঠকও। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আরও একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে সোমবার দুপুরে। মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকে নজর সকলের।
ইতিমধ্যেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি হয়েছে কারফিউ। হিংসা থামাতে আগামী দুদিন রাজ্যের অন্তত সাতটি জেলায় বন্ধ থাকবে মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। উল্লেখ্য, জিরিবাম জেলায় ৬ মেতেই নাগরিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে নতুন করে আগুন জ্বলছে মণিপুরে। মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাড়িতেও হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা।