shono
Advertisement

ক্ষীণ কিচিরমিচির, কমছে পাখিদের সংখ্যা, বিশ্ব চড়াই দিবসে উদ্বেগের পরিসংখ্যান

অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে কমেছে চড়ুই পাখি, উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা।
Posted: 05:22 PM Mar 20, 2021Updated: 05:22 PM Mar 20, 2021

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সকালবেলার রোদ্দুর মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে একটা চড়াইয়ের (Sparrow) এক্কাদোক্কা খেলার কথা গানে গানে কত আগেই বলে গিয়েছিলেন নাগরিক কবিয়াল। চড়াই আমবাঙালির নিত্যদিনের পরিচিত এক সঙ্গী। তাই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়াই হয় না। আবার কিচিরমিচির ডাক নিয়ে নস্টালজিয়াও কম নয়। সে যাই হোক, আপাতত চড়াই বৃত্তান্তে ঘনিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ। কারণ, তাদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের (Civilization) কোপ পড়ছে তাদের উপর। শনিবার, বিশ্ব চড়াই দিবসে তাদের নিয়ে এমনই অশনি সংকেত দেখছেন পক্ষীবিদরা।

Advertisement

হাউস স্প্যারো অর্থাৎ বাসা বাড়ির চড়াই। আমাদের অতি সুপরিচিত পাখিটি আদি নিবাস ইউরেশিয়া ও আফ্রিকায় (Africa) হলে ও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সারা মহাদেশেই এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। আর তাই বাঙালি থেকে বিলিতি সমস্ত লেখকদের রচনায় ফুটে উঠেছে এই চড়াই পাখির বর্ণনা। ২০ মার্চ চড়াই পাখি দিবস। বিশ্বের ৫০ টি দেশ এই দিনটি পালন করে থাকে। শনিবার এই বিশ্ব চড়াই পাখি দিবসে চড়াই কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পরিবেশবিদরা (Environmentalists)।

[আরও পড়ুন: আন্দামানে মিলল মারণ ছত্রাকের সন্ধান! হতে পারে পরের অতিমারীর কারণ, শঙ্কায় বিজ্ঞানীরা]

মূলত চড়াইয়ের কমে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন (Unplanned civilization)। ফলে পাকা বাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে এই সমস্ত চড়ুই পাখিদের থাকার জায়গা। কারণ, নতুন বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে  সেভাবে ঘুলঘুলি বা কড়িকাঠ থাকে না। এর ফলে চড়াই পাখির বাসা করার জায়গা কমে যাচ্ছে। মূলত ঘাস ও খড় দিয়ে এই পাখিরা বাসা বানিয়ে ডিম পেড়ে নতুন প্রজন্ম তৈরি করে। বিভিন্ন শস্যদানা খেয়ে বেঁচে থাকে এই পাখিটি। তবে বিড়াল, বাজ, পেঁচা জাতীয় পাখি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির শিকার হয় চড়াই এবং মোবাইল রেডিয়েশন এর কারণেই এই পাখির সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

[আরও পড়ুন: বাতাসে বিষ! বিশ্বের তিরিশটি সবথেকে বেশি দূষিত শহরের মধ্যে ২২টি ভারতেরই]

সাধারণ চড়াই পাখির দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার ওজন ২৫ গ্রাম থেকে ৪০ গ্রাম। একটানা ২৪ মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। স্ত্রী চড়াই পুরুষদের থেকে খানিকটা ছোট হয়। তবে ভারতে সাধারণত চড়াইকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় – একটি বাস্তু পাখি চড়াই, অন্যটি ইউরেশীয় গাছ চড়াই। গড় আয়ু ৬ থেকে ৮ বছর। বর্তমানে তাই অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া লড়াই চালাতে হচ্ছে তাদের। তবে তাদের বাঁচাতে হাত বাড়িয়েছেন এক পরিবেশপ্রেমী। চারদিকে চড়াই পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার সোনারপুরের স্কুল শিক্ষিকা সুস্মিতা পাল নিজের বাড়িতেই বানিয়েছেন চড়াই পাখিদের খাওয়ার জায়গা। অস্থায়ী ঘর করে ছাদের উপর তৈরি হয়েছে চড়াই পাখির বাসা। এই কারণে কলকাতা এবং গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আলাদা করে খাওয়ার দিয়ে চড়ুই পাখির বাসা তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এতেই আশার আলো দেখছেন পরিবেশবিদরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement