গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: করোনার (Coronavirus) কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অনলাইন ক্লাস। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে তৈরি হয়েছে বহু গ্রুপ। তাতেই বিপত্তি। বসিরহাটের ন্যাজাটের একটি স্কুলের গ্রুপে ছাত্রের বাবার নম্বর থেকে পাঠানো হল অশ্লীল ছবি! ঘটনায় ক্ষুব্ধ অন্যান্য অভিভাবকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটের ছোট সেহারা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপে। জানা গিয়েছে, অনেক পড়ুয়ার নিজেদের নম্বর থাকলেও কারও আবার অভিভাবককদের নম্বরও রয়েছে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সেরকমই এক পড়ুয়া তার বাবা দীপঙ্কর পাত্রের নম্বর স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড করেছিল। অভিযোগ, গত কয়েকদিনে সেই নম্বর থেকে স্কুলের গ্রুপে একের পর এক পাঠানো হয় নগ্ন ছবি। ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন অন্যান্য অভিভাবকরা। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাবি করেছেন তাঁর ফোনটি হারিয়ে গিয়েছে। এবং কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে তা জানা নেই তাঁর।
[আরও পড়ুন: খাঁচা খুলতেই নদীতে ঝাঁপ! কুলতলিতে তাণ্ডবের পর বাইনের জঙ্গলে মিলিয়ে গেল বাঘ]
বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অন্যান্য অভিভাবকরা। তাঁরা দাবি করেন, ওই পড়ুয়ার বাবা আগেও এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু তিতি প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। ঘটনায় স্কুলের সভাপতি মানিক মণ্ডলের দিকে আঙুল তুলেছেন এক শিক্ষক। তাঁর বক্তব্য, “আমরা শিক্ষকরা এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের যাবতীয় দায় বর্তায় সভাপতির ওপর। সভাপতি ব্যাক্তিগত কারণে স্কুলে আসছেন না।”
তবে এই ঘটনায় ওই পড়ুয়ার বাবার দাবি মানতে নারাজ অন্যান্য অভিভাবকরা। কারণ, ফোন হারিয়েছে বলে দাবি জানালেও ওই ব্যক্তি শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। ফলে ঠিক কী হয়েছিল? ইচ্ছাকৃত অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়েছিল স্কুলের গ্রুপে নাকি সত্যিই খোয়া গিয়েছে ফোনটি, তা এখনও রহস্য।